বাংলাহান্ট ডেস্ক : দুষ্কৃতী দৌরাত্মের ফলে এক হাড়হিম করা ঘটনার সাক্ষী থাকলো মগরা। দুষ্কৃতীকে ধরার জন্য ট্রেন থেকে ঝাঁপ দিয়ে নিজের ডান হাত খোয়ালেন প্রৌঢ়। অভিযোগ উঠল, কাটা ডান হাত নিয়ে স্টেশনে পৌঁছালেও রেল পুলিশ ওই ব্যক্তির সময়মতো চিকিৎসার ব্যবস্থা করেনি। হয়ত খানিকটা গাফিলতিতেই চিরজীবনের মত অঙ্গহানি ঘটলো এই প্রৌঢ়র।
উত্তরপাড়ার মাখলার বাসিন্দা তাপস বাবু পুজোর ছুটিতে পরিবারসহ ঘুরতে গিয়েছিলেন উত্তরবঙ্গে। ফিরে আসার সময় বর্ধমান স্টেশন থেকে গত ২৩ শে অক্টোবর পরিবারসহ তাপস বাবু ওঠেন বর্ধমান-হাওড়া লোকালে। এরপর এক ছিনতাইকারী মগরা স্টেশনে তাপস বাবুর স্ত্রীর টাকার ব্যাগ নিয়ে চম্পট দেয়। এরপর ওই ছিনতাইকারীকে ধরার জন্য তাপস বাবু লাফ দেন ট্রেন থেকে। এরপর ট্রেন চলতে শুরু করে। চলন্ত ট্রেন থেকে তাপস বাবু ছিটকে পড়েন নিচে। তারপর জ্ঞান হারান তিনি।
জ্ঞান ফিরে আসলে দেখেন তার ডান হাতটি কাটা গেছে। এরপর নিজের চিকিৎসার উদ্দেশ্যে তাপস বাবু বাম হাত দিয়ে তার কাটা ডান হাতটি ধরেই হাজির হন মগরা স্টেশনের প্লাটফর্মে। চুঁচুড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তাপস বাবুকে নিয়ে আসা হয় কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানে ডাক্তাররা তাপস বাবুর ডান হাতটি সম্পূর্ণভাবে কেটে দিতে বাধ্য হন।
তাপস বাবুর স্ত্রী মিতালী দেবী জানিয়েছেন, তার স্বামী যখন ট্রেন থেকে ঝাঁপ মারেন তখনই তিনি চেইন টেনেছিলেন। কিন্তু ট্রেন থামেনি। এছাড়াও রেলের জিআরপিদের বিরুদ্ধে তার অভিযোগ, রেলের কর্মীরা যদি সময় মতো তাপস বাবুকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করতেন তাহলে হয়তো এত বড় ঘটনা ঘটত না। তিনি পুলিশের কাছে দাবি করেছেন যে বর্ধমান স্টেশনের সিসিটিভি ফুটেজ যদি তাকে দেখানো যায় তাহলে তিনি দুষ্কৃতিকে চিহ্নিত করতে পারবেন।