বাংলাহান্ট ডেস্ক : আমাদের দেশে ধর্ষণ নতুন কোন ঘটনা নয়। খবরের কাগজ খুললে বা টিভির পর্দায় চোখ রাখলে প্রতিদিনই ধর্ষণের ঘটনা সামনে আসে। প্রাচ্যে বিশেষ করে ভারতবর্ষের মতো দেশে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নারী ধর্ষণের অভিযোগ সামনে আসে। কিন্তু এবার সম্পূর্ণ একটি বিপরীত ঘটনা সামনে এলো। এক ব্যক্তি চার তরুণীর বিরুদ্ধে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগ তুললেন। এই দাবি সামনে আসতেই শুরু হয়েছে শোরগোল।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগকারী জলন্ধরের বাসিন্দা। তিনি একটি চামড়া কারখানায় শ্রমিক হিসাবে কাজ করেন। এই শ্রমিক অভিযোগ করেছেন, ঘটনায় অভিযুক্ত তরুণীদের বয়স কুড়ি বছরের আশেপাশে। এই শ্রমিক জানান, তরুণীরা চোখে কেমিক্যাল স্প্রে করে তাকে প্রথমে মাদক খাওয়ায়। এরপর তাকে একটি সাদা গাড়িতে তুলে জঙ্গলের মধ্যে গিয়ে ফেলে দেয়। অভিযোগ এই জঙ্গলের মধ্যে তার ওপর যৌন অত্যাচার করা হয়। অত্যাচারের পর গভীর রাতে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় একটি নির্জন জায়গায়। এই ব্যক্তি দাবী করেছেন তরুণীরা তার চোখ কাপড় দিয়ে বেঁধে রেখেছিল।
ওই ব্যক্তি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তিনি বিবাহিত। তার সন্তানও রয়েছে। স্ত্রীর পরামর্শেই তিনি এই ঘটনা প্রথমে পুলিশকে জানাননি। নির্যাতিত শ্রমিকের স্ত্রী সামাজিক লজ্জার ভয়ে কোন ঘটনা প্রকাশ্যে আনতে চাননি। কিন্তু এরপর ঘটনা জানাজানি হতে পুলিশের পক্ষ থেকে নড়েচড়ে বসা হয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পাঞ্জাব পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।
নির্যাতিত শ্রমিক জানিয়েছেন, মূলত ধর্ষণের উদ্দেশ্যেই ওই চার তরুণী তাকে অপহরণ করে। এই ব্যক্তির কথায়, সোমবার কাজ থেকে বাড়ি ফেরার সময় রাস্তায় হঠাৎ একটি সাদা গাড়ি তার সামনে এসে দাঁড়ায়। গাড়ির ভিতরে ছিল চারজন তরুণী। এরপর একটি ঠিকানা জিজ্ঞাসা করার ছলে তরুণীরা তাকে গাড়ির সামনে ডাকেন। এরপর স্প্রে করা হয় তার চোখে। ব্যক্তিটি অসহায় হয়ে পড়লে তাকে জোরপূর্বক তোলা হয় গাড়িতে। এরপর একটি জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে তার উপর যৌন অত্যাচার চালানো হয়। এই ঘটনার পর স্বাভাবিকভাবেই মানসিকভাবে বিধ্বস্ত অভিযোগকারী।