বাংলা হান্ট ডেস্ক : ফের রাজ্যে নারী নির্যাতনের ঘটনা প্রকাশ্যে এল। প্রথমে সোশ্যাল মিডিয়ার (Social Media) মাধ্যমে আলাপ। তারপর পার্টি করার নাম করে সদ্য মাধ্যমিক দেওয়া নাবালিকাকে (minor girl) ফ্ল্যাটে ডাকে দুই যুবক। তারপর তাকে মাদক খাইয়ে ধর্ষণ করে অশালীন ছবি ও ভিডিও তুলে রাখে। সেই ভিডিওকে কাজে লাগিয়ে তা দিয়ে ব্ল্যাকমেল করে এক মাস ধরে বারবার ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল তাদের বিরুদ্ধে। খোল কলকাতায় (Kolkata) এমন ঘটনায় শোরগোল শুরু হয়েছে রাজ্য জুড়ে। অভিযুক্ত দুই যুবককে এই ঘটনায় গ্রেফতার করেছে পাটুলি থানার পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, অভিযুক্ত দু’জনের একজন বিহারের এবং অন্যজন বর্ধমানের কাটোয়ার বাসিন্দা। দু’জনেই কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকত। তাদের বয়স ২৫ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তাদের সঙ্গে পরিচয় হয় ওই কিশোরীর। দু’জনে পার্টি করার নাম করে কিশোরীকে নিজেদের ফ্ল্যাটে ডেকে নিয়ে আসে। তারপর মাদক খাইয়ে বেঁহুশ করে ধর্ষণ করে তাকে। সেই ঘটনার ছবি ও ভিডিও তুলে রাখে তারা।
পরে সেইসব ছবি এবং ভিডিও দিয়ে কিশোরীকে ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করে দুই অভিযুক্ত। তারা হুমকি দেয়, তাদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত না হলে ছবিগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়া হবে। এভাবে গত এক মাস ধরে নাবালিকাকে পাটুলির ফ্ল্যাটে ডেকে এনে একাধিকবার ধর্ষণ করে দুই অভিযুক্ত।
এরই মধ্যে সন্দেহ হয় ওই কিশোরীর বাবা মার। প্রায়ই বেশ কয়েক ঘণ্টার জন্য কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিল কিশোরী, এতে তার বাবা মা তাকে বকাঝকা করছিলেন। নাবালিকা এতটাই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে যে সে কাউকে কিছু বলতে পারছিল না।
তার অবস্থা দেখে সন্দেহ হওয়ায় কিছুদিন আগে মেয়েকে রীতিমতো জেরা করতে শুরু করেন কিশোরীর বাবা মা। তাঁদের প্রশ্নের মুখে ভেঙে পড়ে বাড়িতে সমস্ত কথা জানিয়ে দেয় ওই কিশোরী। এরপরই ঘটনার বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নিগৃহীতা কিশোরীর বাবা-মা। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে দুই যুবকের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের করে পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, নাবালিকার মানসিক সুস্থতার জন্য কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করছেন তাঁরা। যত দ্রুত সম্ভব ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে কিশোরীর বয়ান রেকর্ড করার চেষ্টা কর হচ্ছে। দুই অভিযুক্তের মোবাইল ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে পুলিস।