বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বেশ কিছুদিন ঘরে আটকা থাকার পর, লকডাউন শিথিল হতেই বেরিয়ে পড়েছে মানুষজন। কাজের ফাঁকে হোক কিংবা দুদিনের ছুটি নিয়ে কাটিয়ে আসছেন দিঘা (digha), মন্দারমণি কিংবা তাজপুর। তবে সেখানে গিয়ে করোনা (covid-19) বিধিনিষেধ মান্য করতেই ভুলে যাচ্ছেন অনেকে। তাই এবার এক কড়া নিয়ম জারি করল কাঁথি মহকুমা প্রশাসন।
দিঘা, মন্দারমণি, শঙ্করপুর কিংবা তাজপুরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষজন আসেন সমুদ্রের সৌন্দর্য উপভোগ করতে। বছরের বেশিরভাগ সময়ই সেখানে পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই থাকে। তবে করোনা আবহে লকডাউনে কিছুটা স্থিতি থাকলেও, আবারও ধীরে ধীরে পর্যটক সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে কাঁথি মহকুমার অন্তর্গত এইসকল জনপ্রিয় সব পর্যটন কেন্দ্রে।
সেখানে গিয়ে ভ্রমণের সময় মাস্ক পড়তেই ভুলে যাচ্ছেন বেশিরভাগ পর্যটক। তার মধ্যে শিকেয় উঠেছে দূরত্ব বিধি। যার ফলে রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তে করোনা সংক্রমণের গ্রাফ নিম্নগামী হলেও, পূর্ব মেদিনীপুর এলাকায় ক্রমশ বেড়েই চলেছে সংক্রমণের গ্রাফ।
এই পরিস্থিতিতে কিছুটা কড়া পদক্ষেপ নিল কাঁথি মহকুমা প্রশাসন। নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছে, এবার থেকে দিঘা, মন্দারমণি, শঙ্করপুর কিংবা তাজপুরে ভ্রমণের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক হচ্ছে করোনার দুই ডোজের প্রমাণ পত্র। আর যদি দুই ডোজ না থাকে তাহলে পর্যটকদের দেখাতে হবে আরএটি অথবা আরটিপিসিআর করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট। এক্ষেত্রে সর্বাধিক ৪৮ ঘণ্টা আগের রিপোর্ট গ্রাহ্য করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ওই এলাকার সকল হোটেল, লজগুলিকে। শুধু তাই নয়, হোটেল কিংবা লজের মধ্যেও করোনা বিধিনিষেধ মান্য করতে হবে পর্যটককে। এর অন্যথা হলে হোটেল কর্তৃপক্ষকেই এর দায় নিতে হবে।