বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কোটি কোটি বছর আগে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে ডাইনোসরের বিভিন্ন প্রজাতি। তবে এখনো পৃথিবীর সবচেয়ে বিরাট এই প্রাণীদের নিয়ে মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। ঠিক যখন এমন ধারণা শুরু হয়েছিল যে ডাইনোসরের প্রায় সমস্ত প্রজাতি সম্পর্কেই জেনে ফেলেছে মানুষ, ঠিক তখনই সামনে এলো আরেক নতুন প্রজাতির কথা। অস্ট্রেলিয়ার ডাইনোসররা বারবারই হয়ে উঠেছে বিভিন্ন গবেষণার বিষয়।
এবারও এক নতুন ধরনের ডাইনোসরের খোঁজ পাওয়া গেল অস্ট্রেলিয়া থেকেই। ২০০৭ সালে প্রথমবার এই ডাইনোসরের কথা সর্বসমক্ষে এলেও এই প্রথমবার তার নাম ঠিক হলো ‘কুপার’।
নতুন প্রজাতির এই ডাইনোসরের বিজ্ঞানসম্মত নাম, ‘ অস্ট্রালােটাইটান কুপারেনসিস ‘। পশ্চিম ব্রিসবেনের থেকে প্রায় হাজার কিলোমিটার দূরে এরোমাঙ্গা বেসিনে ম্যাকেঞ্জি পরিবারের একটি খামার বাড়িতে ডাইনোসরের হাড়টি আবিষ্কার করেন বিজ্ঞানীরা। তবে ২০০৬ সালে আবিষ্কৃত হলেও প্রথমেই কথা সম্পূর্ণ গোপন রাখা হয়। সাথে সাথেই চলছিল গবেষণা।
কারণ নতুন ধরনের কোন ডাইনোসর পৃথিবীতে থাকতে পারে সেটা ভাবাটাই ভীষণ কঠিন। আর তাই এই হাড়টি খুজে পাওয়ার পর রীতিমতো বিস্মিত হয়ে গিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরাও। এই প্রসঙ্গে এরােমাঙ্গা ন্যাশনাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামের কর্তা রবিন ম্যাকেঞ্জি বলেন, “এই হাড়টির দৈর্ঘ্যে কথা মাথায় রেখে এটা বলাই যায় যে এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পাঁচটি ডাইনোসরের অন্যতম।”
কুইন্সল্যান্ড মিউজিয়ামের প্যালিয়েনটোলজিস্ট স্কট হকনাল বলেন, কুপারকে ডাইনো গোষ্ঠীর একটি নতুন প্রজাতি হিসেবে স্বীকৃতি আদায় করা খুবই কঠিন কাজ ছিল। বিজ্ঞানীদের মতে, এই ডাইনোসরটি দৈর্ঘ্যে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ মিটার যার অর্থ প্রায় ৮২ থেকে ৯৮ ফুট এবং উচ্চতায় এটি ছিল ১৬ থেকে ২১ ফুট। এটিও সেই টিটানোসর গোষ্ঠীর প্রাণী, যারা এই পৃথিবীতে চরে বেড়ানো সবচেয়ে বড় জীব। বিজ্ঞানীদের ধারণা টিটানোসর গোষ্ঠীর অন্য ডাইনোসরদের মতোই এই প্রাণীটিও ছিল উদ্ভিদজীবী। ইতিমধ্যেই এটিকে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় ডাইনোসর বলে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।