বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দিল্লী (Delhi) বিধানসভা কেন্দ্রের আম আদমি পার্টি (AAP) বিধায়ক প্রকাশ জারওয়াল (Prakash Jarwal) এবার এক বড়সড় ঝামেলার মধ্যে ফেসে গেছে। এক মাসের মধ্যে ২০ টি জলের ট্যাঙ্কের মালিকের থেকে প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে পর্দা ফাঁস করল দিল্লীর ক্রাইম শাখা।
অভিযোগ করে ট্যাঙ্কের মালিকরাও
দিল্লীর প্রায় ২০ টি জলের ট্যাঙ্কার মালিকরা এই ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ করেছেন তাঁর বিরুদ্ধে। এমনকি চার জলের ট্যাঙ্কের মালিক ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে তাদের লিখিত দাবী জমা দিয়েছে। তারা জানিয়েছেন, ফাইল অনুমোদিত হওয়ার জন্য ২০০০০ টাকা এবং প্রতিটি রাউন্ড সরবরাহের জন্য ৫০০ টাকা করে দিতে হয়েছে। দিল্লীতে প্রায় ৬০ টি ট্যাঙ্ক থেকে প্রতি মাসে প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা করে নিতেন তিনি।
উঠে আসে বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর তথ্যও
শোনা গিয়েছে, নিজের ঘরে আত্মহত্যা করা ডঃ রাজেন্দ্র সিংও জারওয়ালের সহকর্মী কপিলকে ১০ লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন। বাকি অর্থ দিতে অস্বীকার করায়, ডাঃ রাজেন্দ্র সিংয়ের সঙ্গে জারওয়ালের ঝগড়া চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছায়। মৃত চিকিৎসকের পরিবারের সদস্যরা ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে অর্থ প্রদানের বিষয় প্রকাশ্যে এনেছেন।
সরবরাহের তালিকার বাইরে রাখা হত ট্যাঙ্কগুলোকে
এই বিষয়ে ট্যাঙ্কার মালিকরা দাবি করেছেন, সময়মতো অর্থ প্রদান না করতে পারলে, তাদের ট্যাঙ্কাররা জল সরবরাহের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হত। জল বোর্ড অফিস থেকে তাঁদেরকে জল ভরতেও দেওয়া হত না।
বিস্তারিত জানায় ছেলে এবং স্ত্রীও
প্রয়াত ডাঃ সিংহের ছেলে হেমন্ত পুলিশকে জানিয়েছেন, বিধায়ক ও তাঁর দলের লোকেরা বিগত পাঁচ বছর ধরে তাদের বাবার সাথে ছিলেন। জলের ট্যাঙ্কারের জন্য ডিজেবির কাছে রাখতে ৫০ লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে তার কাছে আরও অর্থ দাবি করতে থাকে। আত্মহত্যার দু’দিন আগে ডাঃ রাজেন্দ্র সিং, জারওয়ালকে ৬০০০০ টাকা দিয়েছিলেন। এবং তাকে আশ্বস্ত করা হয়েছিল আর কোনও ট্যাঙ্কারই তালিকাভুক্ত হবে না।
ডাঃ রাজেন্দ্র সিংহের স্ত্রী ব্রহ্মাবতী জানিয়েছিলেন, তিনি নির্বাচনের পরে ট্যাঙ্কগুলি পুনরায় তালিকাভুক্ত করার জন্য ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে কেনা গহনা মাত্র এক লক্ষ টাকায় বিক্রি করেছিলেন। তবে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ জানিয়েছে, তারা অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে, র্যাকেট সম্পর্কে আরও তথ্য সংগ্রহ করবে।