বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তিনিই পাহারাদার! শনিবার কেশপুরের (Keshpur) ভরা জনসভা থেকে নিজেকে দলের পাহারাদার রূপে তুলে ধরলেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। দলীয় নেতৃত্বকে চরম হুঁশিয়ারি দিয়ে তার বক্তব্য, কোনও দাদা-দিদিকে ধরে পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়ার টিকিট মিলবে না। সাধারণ মানুষের সার্টিফিকেটেই নির্ধারণ করা হবে প্রার্থীদের।
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোট পূর্বে ক্রমশ্যই মুখিয়ে উঠছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। সেই দিকে নজর রেখেই দলীয় কোন্দল রুখতে এদিন জনসভা থেকে দলের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ডো। পাশাপাশি কোন কোন নেতা ঠিক মতো কাজ করছেন, কী কী কাজ করছেন সেই সব খবর তার কাছে রয়েছে বলেই দাবি করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন হুঁশিয়ারির সুরে অভিষেক বলেন, ‘‘কেশপুরে যাঁরা রাজনীতি করেন তাঁরা জানেন, কে সিপিএম, কে বিজেপি, কে তৃণমূল। কে মানুষের পাশে ছিল, কে ছিল না। যাঁরা ভাবছেন যে, তৃণমূলকে ভুল বুঝিয়ে নির্বাচনের সময় এক কাজ করব, আর নির্বাচন পরে আবার জামা পাল্টে তৃণমূল হয়ে তৃণমূলের চোখে ধুলো দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করে নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করতে যা ইচ্ছা তাই করব। সকলের উপরে একটা অদৃশ্য চোখ ঘুরে বেড়াচ্ছে। নজর কিন্তু আমি রাখছি।’’
অভিষেক বলেন, “দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থাকলে আজকের সভায় এত লোক আসত না।” তার কথায়, “তিন-চারটে নেতার রেষারেষির জন্য় দল দুর্বল হলে কাউকে ছেড়ে কথা বলবা না। সময় দিচ্ছি শুধরে যান না হলে এমন ওষুধ প্রয়োগ করব যে শোধরানোর সময় পাবেন না।”
এরপর যারা এতদিন কাজ করে এসেছেন শুধুমাত্র তারাই নির্বাচনের টিকিট পাবেন একথা স্মরণ করিয়ে তিনি বলেন,”যারা ৫ বছর ঢেলে মানুষের জন্য কাজ করবে, তারাই পঞ্চায়েতের প্রার্থী হবে। মানুষ সার্টিফিকেট দিলে তবেই মিলবে টিকিট। যারা তা করবে না, তাদের জন্য ব্যবস্থা নেবে দল।”