বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলায় আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Vote)। তার আগে আজ শনিবার কোচবিহারের (Coochbehar) মাথাভাঙ্গায় (Mathabhanga) বিশাল জনসভা করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। ভোটের উদ্দেশে বার্তা নয়, এদিন কেন্দ্রের মোদী সরকার ও বিএসএফ বাহিনীর ওপর একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূলের যুবরাজ।
শুধু তাই নয় এদিন জনসভা থেকে কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিককেও তোপ দাগেন অভিষেক। প্রসঙ্গত, ডিসেম্বর মাসের ২৪ তারিখ কোচবিহারের সীমান্তবর্তী এলাকা গীতালদহে বিএসএফ- (BSF) এর গুলিতে মৃত্যু হয় বছর ২৪ এর এক এক পরিযায়ী শ্রমিকের। ঘটনা ঘিরে শোরগোল পড়েছিল গোটা জেলায়। এদিন ফের একবার সেই দিকেই সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন তৃণমূল সেকেন্ড ইন কমান্ডো।
বিএসএফের গুলিতে প্রাণ যাওয়া যুবক প্রেমকুমার বর্মনের (Prem Kumar Barman) পরিবারকে মঞ্চে তুলে আনেন অভিষেক। কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃতের মা। মঞ্চে দাঁড়িয়েই নিজের রুমাল দিয়ে সেই মায়ের চোখের জল মুছিয়ে দিলেন! পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন নিহতের বাবা ও দাদা। তাদের কাঁধেও ভরসার হাত রাখেন অভিষেক। বড় দাদার মতো পাশে থাকার আশ্বাসও দিলেন দলনেতা। ভোট প্রচারের সভায় অভিষেকের এই মানবিক রূপ নজর কেড়েছে রাজ্যবাসীর। এদিন রাজনৈতিক নেতার চাইতে জনতার নেতা রূপেই ধরা দিলেন তিনি।
এরপরই বিএসএফের উদ্দেশে তোপ দেগে অভিষেকের হুঙ্কার, “এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে কে? শেষ দেখে ছাড়ব।” উল্লেখ্য, ভরবান্ধা ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা বছর ২৪ এর প্রেমকুমার বেঙ্গালুরুতে দিনমজুরি করতেন। ঘটনার দিন কোনো কারণে তিঁনি সীমান্তের দিকে গিয়েছিলেন। তখনই বিএসএফ বাহিনী তাঁকে লক্ষ্য করে বেলাগাম গুলি চালায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
শনিবার মাথাভাঙা কলেজ ময়দানে বক্তব্য রাখাকালীন এই প্রসঙ্গই তুলে ধরেন অভিষেক। বিএসএফ সহ কেন্দ্র সরকারের ওপর তোপ দেগে তিনি বলেন, “প্রেমকুমারকে এমন নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল, যে তাঁর শরীরে ১৮০ টি বুলেটের টুকরো পাওয়া গেছে। প্রেমকুমার কি জঙ্গি? সে কি পাচার করছিল? তাঁর কাছ থেকে গরু না সোনা – কী পাওয়া গিয়েছে যে এভাবে গুলি চালিয়ে দিল বিএসএফ?” পাশাপাশি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে হুঁশিয়ারি দিয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তার প্রশ্নের জবাব চাইলেন অভিষেক।