বাংলাহান্ট ডেস্ক: এশিয়ার দ্বিতীয় ধনী শিল্পপতি গৌতম আদানির প্রতিরক্ষা খাতে বিনিয়োগের বিশাল পরিকল্পনা প্রকাশ্যে এলো। আদানি গ্রুপ (Adani Group) আগামী বছর এই খাতে প্রায় ১.৮ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগের উদ্যোগ নিচ্ছে, যার মূল লক্ষ্য হবে মানবহীন ও স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি, উন্নত অস্ত্রব্যবস্থা এবং ভবিষ্যৎ যুদ্ধের উপযোগী সামরিক সক্ষমতা গড়ে তোলা। দেশীয় প্রতিরক্ষা উৎপাদন বৃদ্ধির কেন্দ্রীয় সরকারের ‘আত্মনির্ভর ভারত’ অভিযানের সঙ্গেই সামঞ্জস্য রেখে এই পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।
AI এনাবেল্ড ড্রোন মিসাইল বানাবে আদানি গ্রুপ (Adani Group):
আদানি ডিফেন্স অ্যান্ড অ্যারোস্পেস দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্পের পরিবর্তে দ্রুত মোতায়েনযোগ্য প্রযুক্তির উপর জোর দিচ্ছে। সংস্থার তৈরি একাধিক সামরিক সরঞ্জাম ইতিমধ্যেই ভারতীয় বাহিনীর বিভিন্ন অভিযানে ব্যবহৃত হয়েছে বলে অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে। সংস্থার আগামী দিনের নজর থাকবে স্বয়ংক্রিয় যুদ্ধপ্ল্যাটফর্ম, উন্নত নির্দেশিত অস্ত্র, সেন্সর, ইলেকট্রনিক্স এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভিত্তিক মাল্টি-ডোমেন অপারেশন সক্ষমতার দিকে।
আরও পড়ুন:তিন মাস পর ভোট, এরই মধ্যে বড় সিদ্ধান্ত নিলেন তৃণমূলের শওকত মোল্লা, বিধায়ক বললেন…
স্বয়ংক্রিয় সিস্টেম বলতে আকাশ, সমুদ্র ও স্থলে ব্যবহারযোগ্য এমন ড্রোন ও যানবাহনকে বোঝানো হচ্ছে, যা উন্নত সেন্সর ও সফ্টওয়্যারের মাধ্যমে ন্যূনতম মানব হস্তক্ষেপে পরিচালিত হতে পারবে। এই প্রযুক্তি সামরিক কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ মিশনে সৈন্যদের সরাসরি অংশগ্রহণের প্রয়োজন কমিয়ে দেবে, যার ফলে যুদ্ধক্ষেত্রে প্রাণহানির ঝুঁকি হ্রাস পেতে পারে এবং অপারেশনাল রেঞ্জ ব্যাপকভাবে বিস্তৃত হবে।
বর্তমানে আদানি ডিফেন্স অ্যান্ড অ্যারোস্পেস ভারতের বৃহত্তম সমন্বিত বেসরকারি প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলির একটি হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। এর সক্ষমতার মধ্যে রয়েছে ড্রোন সিস্টেম, প্রতিরোধক ইউএভি সমাধান, নির্দেশিত অস্ত্র, ছোট অস্ত্র ও গোলাবারুদ উৎপাদন এবং বিমান রক্ষণাবেক্ষণ ও প্রশিক্ষণ পরিষেবা। ২০২৫ সালে বড়সড় গোয়েন্দা ও নজরদারি মিশনের জন্য অন্তত ১০টি উন্নত ইউএভি ইতিমধ্যেই ভারতীয় নৌবাহিনী ও সেনাবাহিনীর সাথে একত্রিত হয়েছে বলে সংস্থা সূত্রে দাবি করা হয়েছে।

২০২৬ সালের মধ্যে এই সংস্থা আকাশ, সমুদ্র ও স্থল—এই তিন ডোমেইনেই ড্রোন ও প্রিসিশন স্ট্রাইক ক্ষমতা আরও সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করেছে। একই সঙ্গে সার্ভিসিং ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং এআই-চালিত সিস্টেমের মাধ্যমে সামরিক কার্যক্রমকে আরও দক্ষ করে তোলা হবে। এই বিনিয়োগ কর্মসংস্থানের বিশাল সুযোগ সৃষ্টি করবে বলে মনে করা হচ্ছে। আদানি ডিফেন্সের লক্ষ্য আগামী কয়েক বছরে দেশের বেসরকারি প্রতিরক্ষা বাজারের প্রায় ২৫ শতাংশ শেয়ার দখল করা।












