মৃত্যুর ৭ মিনিট পর ফের প্রাণ ফিরে পেলেন অভিনেতা, “দেখেছি স্বর্গ, চাঁদ, উল্কা”, করলেন দাবি

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে একটি অত্যন্ত খারাপ প্রবণতা পরিলক্ষিত হচ্ছে সমগ্র বিশ্বজুড়ে। যেখানে কম বয়সেই হৃদরোগের কারণে মৃত্যুর (Death) বিষয়টি ক্রমশ বাড়তে থাকছে। যা নিঃসন্দেহে চিন্তার বিষয়। তবে, এবার চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক ব্রিটিশ মঞ্চাভিনেতা। মূলত, ওই অভিনেতা দাবি করেছেন যে, তিনি মৃত্যুর পরে আবার জীবিত হয়েছেন। ওই মঞ্চাভিনেতার নাম শিব গ্রেওয়াল। তাঁর বয়স ৬০ বছর। এদিকে, ইতিমধ্যেই তাঁর এই চাঞ্চল্যকর দাবি উঠে এসেছে খবরের শিরোনামে।

এই প্রসঙ্গে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, শিব গ্রেওয়াল দাবি করেছেন, তিনি মৃত্যুর পর স্বর্গ দেখেছেন। এমনকি, ওই অভিনেতা চাঁদ ও উল্কাকেও কাছ থেকে দেখেছেন বলে দাবি করেছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রেওয়ালের এই দাবি ১০ বছরের পুরোনো। কিন্তু সম্প্রতি তিনি তা শেয়ার করেছেন পিএ রিয়েল লাইফের সঙ্গে।

After 7 minutes of death, this actor came back to life

কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের পর মৃত্যু: গ্রেওয়ালের মতে ২০২৩-এর ৯ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ-পূর্ব লন্ডনে তাঁর বাড়ির কাছে স্ত্রী অ্যালিসনের সাথে মধ্যাহ্নভোজ করার পর তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। এমতাবস্থায়, অ্যালিসন দ্রুত একটি অ্যাম্বুলেন্স ডাকলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়। প্রায় সাত মিনিট ধরে তিনি “মারা যান”। ওই অভিজ্ঞতা সম্পর্কে গ্রেওয়াল পিএ রিয়েল লাইফকে বলেন, “আমি কোনোভাবে জানতাম যে আমি মারা গেছি। আমি অনুভব করেছি যে জিনিসগুলি আমার শরীর থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। মনে হচ্ছিল যেন আমি শূন্যতায় ছিলাম কিন্তু আবেগ ও সংবেদনশীলতা অনুভব করতে পারতাম।”

আরও পড়ুন: হতে চেয়েছিলেন নায়িকা, কিন্তু হলেন IPS অফিসার! অপরাধীরা যমের মত ভয় পায় এই “লেডি সিংঘম”-কে

চাঁদ ও স্বর্গ পরিদর্শনের দাবি: তিনি আরও দাবি করে জানান যে, “মনে হয়েছিল আমার শরীর নেই। আমি জলে সাঁতার কাটছি। শারীরিক জগৎ থেকে ওজনহীন এবং বিচ্ছিন্ন বোধ করি। এক সময়ে, আমি চাঁদে ভ্রমণ করছিলাম এবং আমি উল্কাপিন্ড ও পুরো মহাকাশ দেখতে পাচ্ছিলাম। কিন্তু আমি সেসব দেখতে চাইনি।” বরং, তিনি সুস্থ এবং স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকতে চেয়েছিলেন এবং স্ত্রীর কাছে যেতে চেয়েছিলেন।

আরও পড়ুন: এই দেশের সংসদে দেখানো হল এলিয়েনের মৃতদেহ, বিরাট দাবি বিজ্ঞানীদের! দেখে ‘থ” বিশ্ব

মৃত্যুর মুখোমুখি হওয়ার পর জীবনের প্রতি ধারণা বদলেছে: গ্রেওয়ালের বলেন, “আমি বুঝতে পারি যে একটি অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এবং রিমেডিক্সের সাহায্যে হৃৎপিণ্ড আবার স্পন্দন শুরু করেছে। যা বাস্তবে ঘটেছে।” তিনি জানান, পরে তাঁকে তার মূল ধমনীতে একটি স্টেন্ট ঢোকানোর জন্য অস্ত্রোপচারের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, যা সম্পূর্ণরূপে অবরুদ্ধ ছিল। সেরিব্রাল হাইপোক্সিয়া অর্থাৎ মস্তিষ্কে অক্সিজেনের অভাবের কারণে চিকিৎসকরা তাঁকে এক মাস কোমায় রাখার সিদ্ধান্ত নেন। এই কারণে তিনি মৃগী রোগে আক্রান্ত হন। যদিও গ্রেওয়াল সেই বেদনাদায়ক ঘটনা থেকে পুরোপুরি সেরে ওঠেননি। তিনি জানান, মৃত্যুর মুখোমুখি হওয়ায় জীবনের প্রতি তাঁরা ধারণা বদলে গিয়েছে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর