বাংলাহান্ট ডেস্ক : সন্দেশখালি কাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড শেখ শাহজাহানকে অবশেষে গ্রেপ্তার করতে পেরেছে পুলিশ। জেরায় পুলিশের কাছে শেখ শাহজাহান স্বীকার করেছে, তাঁর নির্দেশেই হামলা চালানো হয়েছিল ইডি অফিসারদের উপর। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে মারধর করা হয়েছিল। ভাঙচুর করা হয়েছিল ইডি আধিকারিকদের গাড়িতে।
বসিরহাট মহকুমা আদালতে পুলিশের পক্ষ থেকে যে নথি জমা দেওয়া হয়েছে তাতে শাহজাহানের স্বীকারোক্তি স্পষ্ট ভাষায় লেখা রয়েছে। এই নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে শেখ শাহজাহান ইডি অধিকারীদের ওপর গত ৫ই জানুয়ারি হামলা চালান। শেখ শাহজাহান নিজের মুখে স্বীকার করেছেন, তাঁর ডাকেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় অনুগামীরা।
আরোও পড়ুন : ২ টির বেশি সন্তান থাকলেই মিলবে না সরকারি চাকরি! অবশেষে নিয়মে সিলমোহর দিল সুপ্রিম কোর্ট
ইডি আধিকারিক ও কেন্দ্রীয় জওয়ানদের মারধর করা হয়। এছাড়াও শাহজাহান বলেছেন গ্রেফতারি এড়াতেই তিনি হামলা চালিয়েছিলেন। এছাড়াও তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন শাহজাহান। কারা মারধরের ঘটনায় যুক্ত ছিল, কোথায় রয়েছে লুটের মাল, এসব কিছুরই শাহজাহান জানাবেন বলে জানিয়েছেন।
আরোও পড়ুন : সুখবর দিয়ে দিল রেল! এবার তিন ঘণ্টায় দিঘা থেকে যাওয়া যাবে পুরী, শীঘ্রই শুরু হবে ট্রেন পরিষেবা
পুলিশের পক্ষ থেকে আগামী ১৪ দিন শাহজাহানকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, রেশন দুর্নীতির তদন্ত করতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকেরা গত ৫ জানুয়ারি উপস্থিত হন শেখ শাহজাহানের বাড়িতে। তারপরেই রীতিমতো তোলপাড় শুরু হয় গোটা এলাকায়।
সন্দেশখালিতে শাহজাহানের বাড়ির সামনে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা ও কেন্দ্রীয় জওয়ানরা উপস্থিত হলে সেখানে এসে জড়ো হয় কয়েকশো শাহজাহান অনুগামী। অভিযোগ ওঠে সেখানে শেখ শাহজাহানের অনুগামীরা মারধর করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের। এমনকি ভাঙচুর করা হয়েছে গাড়ি। যদিও তৃণমূল বারবার বলে এসেছে এই ঘটনায় শাহজাহানকে ফাঁসানো হচ্ছে। এটি গ্রামবাসীদের স্বতঃস্ফূর্ত বহিঃপ্রকাশ।