শহরে আবার বিধ্বংসী আগুন। শনিবার কাক ভোরে বিবাদীবাগের ৫ নম্বর গার্স্টিন প্লেসের শতাব্দী প্রাচীন বাড়িতে আগুন লেগে যায়। জানা যায়, ব্যাঙ্কশাল আদালতের পাশের ওই বাড়িতেই ছিল একাধিক আইনজীবীর অফিস। তাই সেখানেই ছিল একাধিক মামলার গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র। কিন্তু এদিনের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই প্রায় সব।
খবর মিলতেই শনিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছান দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। মন্ত্রীকে সামনে পেয়েই এদিন তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান আইনজীবীরা। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ বাড়িতে রাসায়নিক পদার্থ মজুত থাকার পরেও তা কি করে প্রশাসনের নজরে এড়িয়ে গেল? সেইসাথে তাঁদের প্রশ্ন মামলার এত নথিপত্র পুড়ে যাওয়ায় তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেবে কে?
জানা যায় এদিন আগুন লাগার পর গোটা এলাকা কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছিল।সূত্রের খবর শনিবার ভোর সাড়ে তিনটে বিবাদী বাগের যে পুরনো বাড়িতে আগুন লেগে গিয়েছিল সেই বাড়িটি নাকি একেবারে ঘিঞ্জি এলাকায় অবস্থিত। তাই আগুন ছড়িয়ে পড়তেও বেশি সময় লাগেনি।স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি এদিন বাড়ির ভিতর থেকে নাকি বারবার বিস্ফোরণের শব্দও শোনা যাচ্ছিল।
তবে এদিন দমকল বাহিনীর ওপর ক্ষোভ উগরে দিয়ে স্থানীয়দের দাবি, খবর দেওয়া সত্ত্বেও নাকি দমকল প্রায় ৩০-৪০ মিনিট পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিল। জানা যায় এদিন ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিল দমকলের মোট ৮ টি ইঞ্জিন। টানা প্রায় ঘণ্টা পাঁচেকের চেষ্টায় শেষ পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে আসে বিধ্বংসী আগুন। আচমকাই আগুন লেগে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে জানাতে গিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়ে স্থানীয়দের দাবি, শতাব্দী প্রাচীন ওই বাড়িতে নাকি ভালো পরিমাণ রাসায়নিক মজুত করা ছিল। যা থেকে ঘটে যায় বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা।
আরও পড়ুন: রাজ্যে কার্যকর হতে চলেছে সপ্তম বেতন কমিশন! অবশেষে বেতন-DA নিয়ে বিরাট সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রীর
তবে এদিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু বলেন, ‘বাড়িটি অনেক পুরনো। আগুন নেভানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাড়িতে থাকা সকলকে তাড়াতাড়ি বের করা হয়েছে। হতাহতের কোনও খবর নেই। শুনেছি এখানে রাসায়নিক মজুত করা ছিল। যদি সত্যি হয় খুব খারাপ বিষয়। পুলিশ, দমকলের তরফে তদন্ত করতে বলব। কলকাতায় বহু পুরনো বাড়ি রয়েছে। পুরসভাকে বলব সংস্কারের বন্দোবস্ত করা হোক।’ তবে বাড়িটিতে আগুন লাগার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়।