বাংলাহান্ট ডেস্ক : বুধবার সন্ধায় দিল্লিতে ইডির (Enforcement Directorate) হাতে গ্রেফতার হন অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। সুকন্যার গ্রেফতারির খবর পাওয়ার পরেই কার্যত কান্নায় ভেঙে এক মহিলা। দফতরের বাইরে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকা ক্যামেরামানদের চোখ হঠাৎই চলে যায় তার দিকে। স্বাভাবিকভাবেই কে সেই মহিলা সেই নিয়ে কৌতূহল সৃষ্টি হতেই জানা যায়, ক্রন্দনরত মহিলা হলেন সুতপা পাল।
জানা গিয়েছে, তিনি আর কেউ নন, সুকন্যার বান্ধবী। সুকন্যার জন্য জামা-কাপড় ব্যাগে ভরে এনেছিলেন সুতপা (Sutapa Pal)। কিন্তু বন্ধুর কাছে পৌঁছে নিজের চোখের জল আটকে রাখতে পারেননি তিনি। তীব্র আকুতি নিয়ে বারবার বলছেন, ‘আমাকেও গ্রেফতার করে নিন তাহলে অন্তত একসঙ্গে থাকতে পারব। কারণ সুকন্যার আর কেউ নেই যে!’
সূত্রের খবর, সুতপা পাল নিজেও একজন ক্যানসার রোগী। দীর্ঘদিন ধরে অনুব্রত মণ্ডল এবং তার কন্যা সুকন্যা সুতপার চিকিৎসার জন্য যাবতীয় খরচ বহন করছিলেন। একসঙ্গে দিল্লিতে ইডি দফতরে হাজিরা দিতে এসেছিলেন। একা ফিরে যেতে হচ্ছে তাঁকে। সর্বক্ষণের সঙ্গী সুকন্যা গ্রেফতার হওয়ায় নিজেও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন সুতপা পাল।
ইডি দফতরের বাইরে সংবাদমাধ্যমে বলেন, “ওর বাবাকে গ্রেফতার করে নিয়েছে, মা চলে গেছেন আগেই। আর কিছু বলার বা করার তো নেই।” ইডি দফতরের বাইরে হাপুস নয়নে কাঁদতে কাঁদতে তিনি বারবার বলতে থাকেন” আর কিছু করার নেই।” তাঁর কথায়, “কী করব। সবই কপাল। ওর কেউ নেই, পাশে দাঁড়াবার কেউ নেই।” অবশ্য জেলা নেতৃত্বকে মমতা নিজেও বলেছিলেন, মা মরা মেয়েটাকে দেখার জন্য।
অনুব্রত জেলবন্দী হতেই গরু পাচার মামলাতেই সুকন্যাকে গ্রেফতার করল ইডি৷ সূত্রের খবর, এর আগে প্রতি বারই জিজ্ঞাসাবাদের সময় সুকন্যা বার বারই দাবি করেছেন তিনি কিছু জানেন না৷ এমন কি, নানা অছিলায় একাধিকবার হাজিরা এড়িয়েছেন তিনি৷ তদন্তে অসহযোগিতা এবং ইডি-র কাছে সমস্ত নথি জমা না দেওয়ার জন্যই সুকন্যাকে গ্রেফতার করা হল বলে খবর৷