বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কোভিডের প্রতিরোধক হয়ে উঠতে পারে গায়ত্রী মন্ত্র এবং প্রাণায়ম। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন, এবার এই নিয়ে রীতিমতো ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের আয়োজন করল আইসিএমআর অর্থাৎ ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ। শুধু তাই নয় ট্রায়ালের জন্য হৃষিকেশের এইমসকে তিন লক্ষ টাকা বরাদ্দও করা হয়েছে ডিপার্টমেন্ট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির তরফে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, গায়ত্রী মন্ত্র এবং প্রাণায়ম বিষয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই চর্চা করে আসছে হৃষিকেশ এইমস। এবার কুড়ি জন কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তিকে আলাদা করে বেছে নেওয়া হলো ট্রায়ালের জন্য। পেশাদার যোগব্যায়াম শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে চলবে এই পরীক্ষা। প্রাথমিক ভাবে দুটি দলে ভাগ করা হবে আক্রান্ত ব্যক্তিদের। প্রথম ১০ জনকে প্রতিদিন সময়মতো গায়ত্রী মন্ত্র পাঠ করানো হবে। দলের অন্য ১০ জনকে করানো হবে নিয়মিত যোগ ব্যায়াম। ১৪ দিন ব্যাপী পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর দেখা হবে তাদের শরীরে কোভিড প্রতিরোধক ক্ষমতা কতখানি তৈরি হলো।
বিজ্ঞানীদের মতে কোভিডের এই সার্স কোভ-২ মূলত আক্রমণ করে ফুসফুসে। এই ট্রায়ালের পর আক্রান্ত ব্যক্তিদের ফুসফুসের ক্ষয়ক্ষতি এবং প্রদাহ কমলো কিনা তা খুঁটিয়ে দেখা হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির সেরে ওঠার ক্ষেত্রে কত সময় লাগছে, তাতে কোনো পার্থক্য তৈরী হচ্ছে কিনা তাও পরীক্ষা করে দেখা হবে। এইমসের চিকিৎসক পালমোনোলজিস্ট ডক্টর রুচি দুয়া বলেন, ওই ট্রায়ালে কুড়ি জন আক্রান্ত ব্যক্তির শারীরিক অবস্থার কতখানি উন্নতি হচ্ছে তা খতিয়ে দেখা হবে আগামী কয়েক মাস ধরে। তবে এই ট্রায়াল’ গুরুতর অসুস্থদের উপর করা হবে না বলেই জানা গেছে।
শুরু থেকেই করোনার ক্ষেত্রে যাদের দেহে হালকা উপসর্গ রয়েছে, তাদের জন্য যোগব্যায়ামের উপর গুরুত্ব দিয়েছেন চিকিৎসক মহল। প্রচলিত চিকিৎসার পাশাপাশি আয়ুর্বেদ এবং যোগব্যায়ামের দিকে গুরুত্ব দিয়েছে সরকারও।অন্যান্য আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা যেমন পতঞ্জলির তৈরি কোরোনিলকেও কোভিড চিকিৎসার একটি সাপোর্টিভ মেডিসিন বলে গণ্য করা হয়েছে। এর আগেও যোগ ব্যায়াম এবং বিকল্প ওষুধের প্রভাব মূল্যায়নের জন্য অর্থ বরাদ্দ করেছে ডিপার্টমেন্ট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি।