কেষ্ট কাণ্ডের পর ফের শিরোনামে সেই শিবঠাকুর, এবার শতাব্দীর রোষের মুখে ‘ফেমাস’ দম্পতি

   

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অভিনেত্রী থেকে নেত্রী, দুই ভূমিকাতেই ভীষণ সফল শতাব্দী রায় (Satabdi Roy)। চারবারের সাংসদ তিনি। সদ্য বীরভূম (Birbhum) থেকে জয়ী হয়ে চতুর্থবারের সাংসদ হয়েছেন তিনি। ভোটে জেতার পরেই এবার ‘গদ্দার’দের চিহ্নিত করে দল থেকে বের করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন শতাব্দী। শনিবার দুবরাজপুর পুরসভার তরফ থেকে TMC সাংসদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখান থেকেই এই বার্তা দেন তিনি।

অনুষ্ঠান মঞ্চে দাঁড়িয়েই স্থানীয় TMC নেতা শিবঠাকুর মণ্ডল (Shiv Thakur Mondal) এবং তাঁর স্ত্রী লিপিকাকে সবার সামনে দাঁড় করিয়ে ভর্ৎসনা করেন শতাব্দী। নির্বাচনে বিজেপির (BJP) হয়ে কাজ করেছেন, বিজেপির সঙ্গে যোগ রয়েছে, এমনই নানান অভিযোগ তুলে TMC নেত্রী পরিষ্কার বলেন, সবটা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে।

২০২২ সালে গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির পর শিরোনামে উঠে এসেছিলেন শিবঠাকুর। TMC নেতাকে যখন দিল্লি নিয়ে যাওয়ার তোরজোড় করছে CBI, সেই সময় থানায় গিয়ে অনুব্রতর নামে অভিযোগ জানিয়েছিলেন তিনি। দলীয় কার্যালয়ে ডেকে কেষ্ট তাঁকে খুনের হুমকি দিয়েছেন বলে দাবি করেন শিবঠাকুর। এরপর গত বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনে দাঁড়ান শিবঠাকুর এবং তাঁর স্ত্রী। শিবঠাকুর জয়ের মুখ না দেখলেও তাঁর স্ত্রী লিপিকা বালিজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হন। এবার তাঁদের বিরুদ্ধেই BJP যোগের অভিযোগ তুললেন শতাব্দী।

আরও পড়ুনঃ লোকসভায় হেরেও সাংসদ হচ্ছেন অধীর? বিশেষ বার্তা কংগ্রেস নেতৃত্বের, তোলপাড় দেশ!

গতকাল অনুষ্ঠানে শিবঠাকুরকে TMC সাংসদ প্রশ্ন করেন, ‘তোমাদের এলাকায় জিত হয়েছে নাকি হার? এতদিন আমায় যারা ভুল বলেছেন, আমি সেটা স্বীকার করতে রাজু। সত্যিই আমি কিছু কিছু জায়গায় ভুল ছিলাম। কিন্তু তাঁরা নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রমাণ করে দিয়েছে যে আমি ভুল ছিলাম এবং তাঁরা ঠিক। কিন্তু তোমার ক্ষেত্রে এটা হয়নি। তোমার কাজেই প্রমাণিত যে তুমি ভুল ছিলে। আর আমাকেও ভুল বুঝিয়েছ। এবার দেখো তোমার ভবিষ্যৎ’।

Satabdi Roy

শতাব্দী জানান, নির্বাচনের সময় কারা কারা গেরুয়া শিবিরের হয়ে কাজ করেছেন সেটা ইতিমধ্যেই চিহ্নিত হয়ে গিয়েছে। তাঁদের দল থেকে বহিষ্কার করা হবে বলেও জানান তিনি। যদিও শিবঠাকুর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, শতাব্দী এমন কিছু বলেছেন বলে তাঁর কানে আসেনি। তবে ভোটে হারের কথা স্বীকার করে নেন তিনি। বলেন, ১৮টি গ্রাম সংসদের মধ্যে হিন্দু অধ্যুষিত ১০টিতেই পরাজিত হয়েছি। গতকাল আবার নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি লিড পাওয়া তিন গ্রাম পঞ্চায়েতকে সোনার মেডেল ও ট্রফি দেওয়া হয়েছে।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তরের পর সাংবাদিকতা শুরু। বিগত প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর