বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভরসন্ধ্যায় আচমকাই গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হলেন প্রাক্তন এক পুলিশকর্মী। গতকাল এহেন ভয়াবহ কাণ্ডের সাক্ষী থাকলো নদিয়ার গয়েশপুর এলাকা, যেখানে নিজের বাড়ির সামনেই এক প্রাক্তন পুলিশ কনস্টেবলকে গুলি করে পালায় কিছু দুষ্কৃতী। মৃত ব্যক্তির নাম জনার্দন কর্মকার। তবে কি কারণে তার ওপর এই হামলা কিংবা কারা এই দুষ্কৃতী, সেই বিষয়ে এখনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
সূত্রের খবর, নদীয়ার গয়েশপুরের তিন নম্বর ওয়ার্ডে নিজের বাড়ির সামনেই এদিন দাঁড়িয়েছিলেন জনার্দনবাবু। হঠাৎই সেখানে স্কুটিতে চেপে দুষ্কৃতীরা এসে পৌঁছায় এবং এরপর একের পর এক গুলিতে ঝাঁঝরা করে যায় তার দেহ। আচমকাই দুষ্কৃতীদের এহেন হামলার ফলে কিছু বুঝে ওঠার সময় পাননি প্রাক্তন এই কনস্টেবল এবং মুহূর্তের মধ্যে মাটিতে পড়ে যান তিনি। সমগ্র রাস্তাটি এরপর রক্তে ভেসে যায়।
পরিবার সূত্রে খবর, জনার্দনবাবুকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে ছুটে আসে তারা এবং চিৎকার করে পাড়ার লোকেদের জড়ো করা হয়। যদিও অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে ততক্ষণে ঘটনাস্থল ছেড়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। পরবর্তী ক্ষেত্রে গুরুতর জখম অবস্থায় জনার্দন কর্মকারকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও অতিরিক্ত রক্ত বেরিয়ে যাওয়ার কারণে তাঁকে বাঁচানো আর সম্ভব হয়না।
জনার্দনবাবু পাঁচ বছর পূর্বেই কনস্টেবল পদ থেকে অবসর নেন বলে জানায় পরিবার। তবে অবসরপ্রাপ্ত এক পুলিশকর্মীর ওপর হামলা চালানোর পিছনে কারা জড়িত রয়েছে কিংবা কারণই বা কী, সেই নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। পরবর্তী ক্ষেত্রে, গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ার পরেই দ্রুত সেখানে উপস্থিত হয় পুলিশ। তবে খুনের পেছনে কোন পুরনো শত্রুতা রয়েছে নাকি অন্য কোন রহস্য, তা খতিয়ে দেখছে প্রশাসন।
মৃত পুলিশকর্মীর স্ত্রী এদিন বলেন, “আমার স্বামীকে কে কেন খুন করেছে, সে সম্পর্কে আমার কোন ধারণা নেই।” পুলিশ সূত্রে খবর, জমি নিয়ে জনার্দনবাবুর পারিবারিক একটি বিবাদ চলছিল বহুদিন ধরে। সেই কারণে খুন কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় এক সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে তারা। তবে দুষ্কৃতীদের খোঁজ পাওয়া এখনও সম্ভব হয়নি বলে জানা গিয়েছে।