মাস্ক না পরায় যুবককে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ অন্ধ্রপ্রদেশের পুলিশের বিরুদ্ধে

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ এবার অন্ধ্রপ্রদেশের(Andhra Pradesh) চিরালা শহরের পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে ২৫ বছরের এক দলিত যুবককে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠল। ওই যুবককে মাস্ক না পরার কারণে পুলিশ তাকে আটক করেছিল। যুবকের নাম ইয়ারিচার্লা কিরন কুমার, গুন্টুরের বাসিন্দা। ১৮ জুলাই চিরালার রাস্তায় মোটরবাইক নিয়ে যাওয়ার সময় মাস্ক না পরে থাকার জন্য পুলিশ তাকে থামতে বলে।

পর্যবেক্ষকদের মতে, দলিত না হলে হয়তো কিরণ কুমারকে এভাবে পুলিশের হাতে মরতেন না। ভারতের বহু অঞ্চলে এখনও জাতপাতের বিচার প্রবল। দলিতদের ওপরে অত্যাচারও নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা।

doliy d

 

পুলিশ-প্রশাসনের একটি অংশ জাতপাতের বিভেদে বিশ্বাসী। একজন উচ্চবর্ণের ব্যক্তি কোনও অপরাধ করে ধরা পড়লে পুলিশ যে আচরণ করে, দলিতদের ক্ষেত্রে তা করে না।   এজন্যই অনেকে মনে করছেন, মাস্ক না পরে কিরণ কুমার নিঃসন্দেহে অপরাধ করেছেন। কিন্তু দলিত না হলে তাঁকে হয়তো এই অপরাধে মরতে হত না।

প্রকাশম জেলার পুলিশ জানিয়েছে, কিরণ কুমার ও তাঁর বন্ধু সাইনি আব্রাহাম মাস্ক না পরে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন। তাঁরা ছিলেন মত্ত অবস্থায়। কোথাপেটা চেক পোস্টে পুলিশ কনস্টেবল রামি রেড্ডি তাঁদের থামান। তখন কিরণ কুমাররা কনস্টেবলকে মারধর করেন। রামি রেড্ডি ওই ঘটনার কথা জানান সাব ইনস্পেকটর বিজয় কুমারকে। তিনি দু’জনকে পুলিশ হেপাজতে নিয়ে আসেন।

রামি রেড্ডির অভিযোগের ভিত্তিতে দু’জনের বিরুদ্ধে মোটর ভেহিকেলস অ্যাক্ট এবং ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্টে মামলা করা হয়। কিরণ কুমারের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়। সাইনি আব্রাহামকে ব্রেথ অ্যানালাইজার দিয়ে পরীক্ষা করা হয়।

v

কিরণ কুমারের বাবা মোহন রাওয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে সাব ইনস্পেকটর বিজয় কুমারের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। প্রকাশম জেলার পুলিশ সুপার সিদ্ধার্থ কৌশল বলেন, পুলিশ ওই যুবককে আদৌ মারধর করেনি।

ওই ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এক ডেপুটি পুলিশ সুপারকে। কিরণ কুমারের বন্ধু সাইনি আব্রাহামও ওই মামলায় সাক্ষী হয়েছেন।


সম্পর্কিত খবর