বাংলাহান্ট ডেস্ক : মহুয়া মৈত্রের ট্যুইটকে ঘিরে জলঘোলা হওয়ার পর দিন দুয়েকও কাটেনি, এরই মধ্যে সংসদে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে আবারও শিরোনামে আর এক তৃণমূল সাংসদ। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের বক্তব্যের সমালোচনা করে এবার রীতিমতো বিতর্কের শীর্ষে তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে অপশব্দ প্রয়োগের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে পারে কেন্দ্র, এমনটাই খবর সূত্র মারফত।
সংসদে অধিবেশন চলাকালীন সাংসদ অপরূপা পোদ্দার বলেন, ‘দেশের সরকার সাধারণ মানুষের কাছে একটি অত্যন্ত নমনীয় কোমল গোলাপি আবহের ভ্রান্ত ধারণা তৈরির চেষ্টা করছে। কিন্তু আদপে এই দেশের প্রতিটি ক্ষেত্র সমস্যায় বিপদে ও চিন্তায় রয়েছে। রাষ্ট্রপতির ভাষণেই তা স্পষ্ট। তাঁর ভাষণ শুনলে মনে হবে জুমলাবাজির বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন তিনি। সর্বাধিক যে বিষয়গুলি এখন দেশের পক্ষে চিন্তার সেগুলির কোনো উল্লেখ নেই৷ করোনা মোকাবিলা, কর্মসংস্থানের অভাব, পরিযায়ী শ্রমিকের সমস্যা, জিডিপির মান নিম্নমুখী হওয়া, দেশের সর্বত্র অসমতার যে ছবি তা কোনোভাবেই আলোচনায় উঠে আসেনি’। তাঁর এহেন মন্তব্যে রীতিমতো তোলপাড় সংসদ জুড়ে৷
লোকসভায় অধিবেশনের প্রথম দিন থেকেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর বেশ চড়িয়েই রেখেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার সাংসদ মহুয়া মৈত্র একটি ট্যুইট করে বিজেপিকে গোমূত্র পান করে আসার পরামর্শ দেন। সেই ট্যুইটে তিনি লিখেছিলেন, ‘বিজেপি তাদের অপ্রাসঙ্গিক যুক্তি এবং হল্লাপার্টি তৈরি রাখতে পারে, চাইলে গোমূত্র পান করেও আসতে পারে তারা’।
এরপরই বিতর্কের ঢেউ ওঠে। লোকসভার স্পিকার নাম না করেই সমালোচনা করেন মহুয়ার। তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের জানাতে চাই,বাড়ির ভিতর হোক বা বাড়ির বাইরে, চেয়ারের বিরুদ্ধে মন্তব্যগুলি দেশের মর্যাদার জন্য ভালো নয়। সংসদদের যথেষ্ট মর্যাদা রয়েছে এবং প্রত্যেক সদস্য এটিকে সম্মান করেই চলে। চেয়ার সবসময় নিরপেক্ষ হওয়ার প্রচেষ্টা চালায় এবং নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করে, নিয়ম অনুয়ায়ী অধিবেশন চালায় এবং স্পিকারের চেয়ারে বসে থাকা সম্মানিত সদস্য চেয়ারের জন্য উপলব্ধি সমস্ত সাংবিধানিক অধিকার পান। আমি আপনাদের অনুরোধ করছি কেউ চেয়ার সম্পর্কে সংসদের ভিতরে বা বাইরে কোনো মন্তব্য করবেন না।’।
এহেন মন্তব্যের পর থেকে রীতিমতো উত্তপ্ত লোকসভার আবহাওয়া। কেন্দ্রের তরফে অপরূপা পোদ্দারের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন একাধিক রাজ্যে, এর মধ্যে তৃণমূলের এই বিতর্কিত মন্তব্য ঠিক কতখানি কাজ করবে তাদের ফরে, সেই প্রশ্নের উত্তর সময়ই দেবে।