বাংলাহান্ট ডেস্ক: ভারতীয় সংষ্কৃতিকে (Indian Culture) ভুলতে বসেছে এদেশের বাসিন্দারাই। নিজেদের প্রাচীন রীতিনীতি ভুলে পাশ্চাত্য সংষ্কৃতিকে অন্ধ ভাবে অনুসরণ করে চলেছে সকলে। আর এটা মূলত হচ্ছে বিনোদন ইন্ডাস্ট্রির জন্য। অভিনেতা অভিনেত্রীদের দেখাদেখি বিদেশি রীতি, সংষ্কৃতি আপন করে নিচ্ছে ভারতীয়রা। বিষয়টা নিয়ে রীতিমতো বিরক্তি প্রকাশ করেছেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী আশা পারেখ (Asha Parekh)।
এই মুহূর্তে ৫৩ তম ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অফ ইন্ডিয়াতে বিশেষ অতিথি হিসাবে অংশ নিয়েছেন আশা। সেখানেই বলিউড তথা ভারতীয় নারীদের উপরে পাশ্চাত্য সভ্যতার প্রভাব নিয়ে মুখ খোলেন তিনি। অভিনেত্রী বলেন, ভারতীয় মহিলারা এখন বিয়েতে ঘাগরা চোলির বদলে গাউনের মতো বিদেশি পোশাক পরে। এমনকি চেহারায় যদি না মানায় তবুও পাশ্চাত্য পোশাকই পরা চাই তাদের।
আশা পারেখ বলেন, তাঁদের সময় আর এখনকার সময়ের মধ্যে বিস্তর ফারাক। সবকিছু বদলে গিয়েছে। এখন যেসব ছবি তৈরি হয় তাতে পাশ্চাত্য প্রভাব স্পষ্ট। তীব্র কটাক্ষ করে আশা বলেন, ‘মেয়েরা গাউন পরে বিয়ে করতে আসেন। আরে ভাই, আমাদের ঘাগরা চোলি, শাড়ি, সালোয়ার কামিজ আছে তো। সেসব পরো না!’
এখানেই না থেমে বর্ষীয়ান অভিনেত্রী আরো বলেন, ‘আসলে পর্দায় নায়িকাদের দেখেই তাদের নকল করছে সবাই। ওরা যে ধরণের পোশাক পরছে আমরাও তেমনি পরব। মোটা হই বা যাই হই না কেন, ওগুলোই পরব। এই ধরণের পাশ্চাত্য প্রভাব দেখলে আমার খারাপ লাগে। আমাদের যা সংষ্কৃতি, নাচ, গান রয়েছে তা ওদেরকে হার মানিয়ে দেবে।’
উল্লেখ্য, এর আগে জয়া বচ্চনও এ বিষয় নিয়ে সরব হয়েছিলেন। মেয়ে আর নাতনি দুজনকেই তিনি সরাসরি প্রশ্ন করেছিলেন, ভারতীয় মেয়েরা এখন এত পাশ্চাত্য পোশাক পরেন কেন? নভ্যা অবশ্য বলেন, এর উত্তর তাঁর কাছে নেই। অন্যদিকে শ্বেতার বক্তব্য, চলাফেরায় সুবিধার জন্যই পাশ্চাত্য পোশাকের প্রতি এখন ভারতীয় মেয়েরা বেশি ঝুঁকছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। এখন মেয়েরা ঘরের পাশাপাশি বাইরের কাজও করেন। তাই প্যান্ট শার্টেই বেশি সুবিধা হয়।