বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি অত্যন্ত বড় আপডেট সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া থেকে শুরু করে, ICICI ব্যাঙ্ক, HDFC ব্যাঙ্ক এবং অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক সহ দেশের সমস্ত প্রধান ব্যাঙ্ক তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটগুলি পুরনো ‘.com’ বা ‘.co.in’ ডোমেন থেকে ‘.bank.in’-এ স্থানান্তরিত করেছে। মূলত, অনলাইন ব্যাঙ্কিং নিরাপত্তা জোরদার করা এবং গ্রাহকদের নিরাপদে প্রকৃত ব্যাঙ্কিং ওয়েবসাইটে অ্যাক্সেস নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (Reserve Bank of India) নির্দেশে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
RBI (Reserve Bank of India) কী নির্দেশ দেয়:
RBI (Reserve Bank of India) সমস্ত ব্যাঙ্ককে তাদের ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং পোর্টালগুলিকে ৩১ অক্টোবর, ২০২৫ সালের মধ্যে একটি বিশেষ ‘.bank.in’ ডোমেনে স্থানান্তরিত করার নির্দেশ দিয়েছিল। এই পরিবর্তনের মূল উদ্দেশ্য হল ফিশিং এবং জাল ওয়েবসাইটের স্ক্যাম প্রতিরোধ করা। যেখানে প্রতারকরা গ্রাহকদের কাছ থেকে ব্যাঙ্কিং বিবরণ পেতে আসল ব্যাংক ওয়েবসাইটের মতো লিঙ্ক তৈরি করে। এমতাবস্থায়, মাইগ্রেশনের সময়সীমা শেষ হওয়ার পর এখন গ্রাহকদের ওয়েবসাইটের URL সতর্কতার সঙ্গে পরীক্ষা করার এবং শুধুমাত্র অফিসিয়াল ‘.bank.in’ ডোমেইন সহ সাইটগুলিতে লগইন করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

‘.bank.in’ ডোমেন কেন বেশি নিরাপদ: জানিয়ে রাখি যে, নতুন ‘.bank.in’ ডোমেইনটি শুধুমাত্র RBI কর্তৃক অনুমোদিত এবং নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠানগুলিকেই মঞ্জুর করা হয়। এর অর্থ হল কোনও প্রতারণামূলক বা অনুমতিহীন সত্তা এই ডোমেইনটি রেজিস্টার করতে পারবে না। এই পদক্ষেপ কেবল অনলাইন ব্যাঙ্কিং জালিয়াতি কমাবে না বরং সাইবার নিরাপত্তা এবং গ্রাহকদের আস্থাও বৃদ্ধি করবে।
আরও পড়ুন: পাত্তাই পেল না ট্রাম্পের শুল্ক ঝটকা! গোটা বিশ্বকে চমকে দিয়ে হু হু করে এগিয়ে চলেছে ভারতের অর্থনীতি
ব্যাঙ্ক জালিয়াতির ঘটনা হ্রাস: প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ২০২৫ সালের মে মাসে প্রকাশিত RBI (Reserve Bank of India)-র বার্ষিক রিপোর্ট অনুসারে, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ব্যাঙ্ক জালিয়াতির ঘটনায় সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। তবে মোট আর্থিক জালিয়াতির পরিমাণ প্রায় ৩ গুণ বেড়েছে। সেগুলির বেশিরভাগ ঘটনাই ডিজিটাল পেমেন্ট লেনদেনের সাথে সম্পর্কিত বলে প্রমাণিত হয়েছে। রিপোর্ট অনুসারে, ২০২৫ অর্থবর্ষে মোট ২৩,৯৫৩ টি ব্যাঙ্ক জালিয়াতির ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছে। যা আগের বছরের তুলনায় ৩৪ শতাংশ কম। তবে, এই জালিয়াতির মোট আর্থিক পরিমাণ বেড়ে ৩৬,০১৪ কোটিতে পৌঁছেছে। যা ২০২৫ অর্থবর্ষের তুলনায় প্রায় ৩ গুণ। RBI জানিয়েছে যে মোট আর্থিক পরিমাণ বৃদ্ধির কারণ হল ১২২ টি পুরনো ঘটনার (১৮,৬৭৪ কোটি টাকা) পুনর্বিবেচনা এবং ২৭ মার্চ, ২০২৩ তারিখের সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অনুসারে পুনরায় রিপোর্ট করার কারণে হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভুলে যাবেন Fixed Deposit! এই ৫ টি স্কিমে বিনিয়োগ করলেই আর নেই চিন্তা, হবে টাকার বৃষ্টি
বেসরকারি বনাম সরকারি ব্যাঙ্ক: বেসরকারি সেক্টরের ব্যাঙ্কগুলি সর্বোচ্চ সংখ্যক জালিয়াতির ঘটনা রিপোর্ট করেছে। যা হল ১৪,২৩৩টি। এই পরিসংখ্যান মোট ঘটনার ৫৯.৪ শতাংশ। সরকারি ব্যাঙ্কগুলিতে ঘটনার সংখ্যা কম ছিল (৬,৯৩৫টি মামলা)। কিন্তু জালিয়াতির পরিমাণ বেশি ছিল-২৫,৬৬৭ কোটি টাকা। যেখানে বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলিতে এর পরিমাণ হল ১০,০৮৮ কোটি টাকা।












