গণহারে ন্যাড়া হচ্ছেন বারাসাত হাসপাতালের কর্মীরা! হঠাৎ হলটা কী? কারণ জানলে চমকে উঠবেন

বাংলাহান্ট ডেস্ক : সরগরম বারাসাত মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (Barasat Medical College Hospital)। ঘুষের টাকা দিতে না চাওয়ায় এক মহিলাকে ব্যাপক মারধর ও শ্লীলতাহানির (Molestation) অভিযোগকে কেন্দ্র করে কাঠগড়ায় ওয়ার্ড মাস্টার। ইতিমধ্যেই, ওই ওয়ার্ড মাস্টারের বিরুদ্ধে বারাসাত থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু, তারপর দীর্ঘ ৯০ ঘণ্টারও বেশি সময় কেটে গেলেও গ্রেফতার হন নি অভিযুক্ত ওয়ার্ড মাস্টার পরিমল রাহা।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই প্রতিবাদ শুরু করেছিলেন হাসপাতালের কর্মীরা। তারা হাসপাতালে নাপিত ডেকে আনেন এবং মাথা মুণ্ডন করলেন হাসপাতালের দুই কর্মী। জানা গিয়েছে, চলতি মাসের শুরুতে ৬ ই এপ্রিল বারাসাত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রোগীদের খাদ্য সরবরাহ ক্যান্টিনের দায়িত্বে থাকা সংস্থার আধিকারিক মহিলার কাছে প্রতিমাসে ২০ হাজার টাকা করে চান ওয়ার্ড মাস্টার। টাকা পেতে লাগাতার চাপও দেওয়া হয়।

নির্যাতিতার সাফ দাবি, কয়েকটা দিন কেটে গেলেও বহাল তবিয়তেই রয়েছেন ওই অভিযুক্ত ওয়ার্ড মাস্টার। পাশাপাশি ওই মহিলা প্রভাবশালী তত্ত্বও তুলে ধরেন। তার কথায়, অভিযুক্তের সাথে প্রভাবশালী কোন ব্যক্তির যোগাযোগ থাকার কারণেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করছেন না বারাসাত থানার পুলিশ। তবে, প্রতিবাদ করার পাশাপাশি তারা অভিযুক্তকে গ্রেফতারের জন্যেও সুর চড়িয়েছেন। একই সঙ্গে উপযুক্ত শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন হাসপাতালের কর্মীরা।

Barasat

অন্যদিকে, মানবাধিকার কর্মী অভিজিৎ বিশ্বাস স্পষ্ট জানান, ওয়ার্ড মাস্টার পরিমল রাহা দীর্ঘদিন ধরেই মহিলাদের সঙ্গে নানান ধরনের অসভ্যতামো করে চলেছেন। পাশাপাশি বসিরহাট ফুড সাপ্লাই মহিলা কোঅপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের কর্মী পারমিতার উপর যেভাবে অত্যাচার করা হয় তার তীব্র নিন্দা করেন তিনি। তবে, সরকারি হাসপাতালে ঘুষ চাওয়া ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ সামনে আসার পর কী পদক্ষেপ নেবে কর্তৃপক্ষ? প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

 

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর