মাত্র ৩০ টাকা দিয়েই হয়ে গেলেন কোটিপতি! নিরাপত্তার জন্য পুলিশের কাছে গেলেন মালদহের ভাগচাষী

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভাগচাষ করেই কোনোমতে কাটছিল দিন। কিন্তু, এবার যেন এক লহমায় ঘুরে গেল ভাগ্যের চাকা! শুধু তাই নয়, কার্যত রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গেলেন মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের গরিব ভাগচাষী মেহবুব আলম। মূলত, কার ভাগ্যে কি লেখা আছে তা কেউই বলতে পারেনা। কিন্তু, কপালে থাকলে যে অবশ্যই সেটির সুফল পাওয়া যায় সেটারই যেন প্রত্যক্ষ প্রমাণ হয়ে উঠলেন মেহবুব।

যদিও, কোটিপতি হয়ে যেন নতুন চিন্তা গ্রাস করেছে তাঁর মনে। আর সেই কারণেই কিছুতেই আশ্বস্ত হতে পারছিলেন না তিনি। সারাক্ষণই নিরাপত্তার অভাব বোধ করতেন মেহবুব। এমবতাবস্থায়, পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে যে, গত সোমবার দুপুরে মাত্র ৩০ টাকা খরচ করে লটারির টিকিট কেটেছিলেন মেহবুব।

আর তাতেই হয়ে যায় বাজিমাত। সন্ধ্যে ছ’টা নাগাদ লটারির ফলাফল বের হতেই দেখা যায় যে, মেহবুবই পেয়েছেন ১ কোটি টাকার প্রথম পুরস্কার। প্রথমে এই বিরাট খবর রীতিমত বিশ্বাসই হচ্ছিল না তাঁর। যদিও, ঠিক তারপরেই গভীর চিন্তা গ্রাস করে তাঁকে। কোটি টাকা জিতে রীতিমত ধুকপুকুনি শুরু হয় দিন আনা দিন খাওয়া মেহবুবের।

এমতাবস্থায়, নিরাপত্তার অভাব বোধ করায় লটারির টিকিট নিয়ে সময় নষ্ট না করেই তিনি চলে যান কুমেদপুর পুলিশ ফাঁড়িতে। সেখান থেকেই পুলিশকর্মীদের সহযোগিতায় মেহবুব হাজির হয়ে যান হরিশ্চন্দ্রপুর থানায়।এদিকে, বিপুল অঙ্কের এই টাকা নিয়ে নিয়ে কী করবেন মেহবুব সে ব্যাপারে এখনও বিশেষ কোনো পরিকল্পনা করেননি তিনি। তবে, একটি ভালো বাড়ি বানানোর ইচ্ছা রয়েছে তাঁর। শুধু তাই নয়, ছেলে-মেয়েদের ভালোভাবে পড়াশোনা শিখিয়ে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতেও চান তিনি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মেহবুব আলম মূলত একজন ভাগচাষী। তাঁর বাড়িতে স্ত্রী ছাড়াও এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। অন্যের জমি চাষবাস করে কোনওক্রমে সংসার চললেও লটারি কাটার ক্ষেত্রে নেশা ছিল তাঁর। যে কারণে প্রায়শই লটারির টিকিট কাটতেন মেহবুব। সোমবারও কুমেদপুর লটারি এজেন্সির টিকিট বিক্রেতা সেন্টু রবিদাসের কাছ থেকে ৩০ টাকা দিয়ে লটারির টিকিট কাটেন তিনি। আর তাতেই ঘুরে যায় তাঁর ভাগ্যের চাকা! রাতারাতি ভাগচাষী থেকে কোটিপতি হয়ে যান মেহবুব আলম।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর