বাংলাহান্ট ডেস্ক: ছবির সংলাপে আপত্তিকর শব্দ। ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত আসতে পারে, এই আশঙ্কায় সেন্সরের কাঁচির তলায় পরিচালক অরিন্দম চক্রবর্তীর (Arindam Chakraborty) ‘আষাঢ়ে গপ্পো’। সোশ্যাল স্যাটায়ার ঘরানার ছবিটির শুটিং হয়েছিল সেই ২০১২ সালে। অভিনয় করেছিলেন আবির চট্টোপাধ্যায় (Abir Chatterjee), রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh), পায়েল সরকার, খরাজ মুখোপাধ্যায়, সম্পূর্ণা লাহিড়ীরা।
দীর্ঘ দশ বছর ধরে আটকে ছিল ছবির মুক্তি। এখন যাও বা ছবিটি মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল, তাও আবার সেন্সরের কোপে পড়ল। সব মিলিয়ে বেশ ক্ষুব্ধ পরিচালক। সমস্যাটা ঠিক কোথায় সেন্সর বোর্ডের? সংবাদ মাধ্যমকে পরিচালক জানান, ছবির একটি দৃশ্যে রামায়ণের শুটিং দেখানো হয়েছে। সেখানে রাবণ ‘সীতে’কে হরণ করতে এসে বলছেন, রাম নেই, ‘হনু’ নেই, লক্ষ্মণও নেই। কেউ বাঁচানোর নেই তাঁকে।
এখানেই আপত্তি তুলেছে সেন্সর বোর্ড। বাদ দিতে হবে ‘হনু’ আর ‘সীতে’, নির্দেশ বোর্ডের। আপত্তি যখন তখন হনুর সঙ্গে মান জুড়ে দিতেই চেয়েছিলেন পরিচালক। তাতেও বরফ গলেনি। ওই দুটি শব্দই ‘মিউট’ করে দেওয়ার নির্দেশ এসেছে। পরিচালকের দাবি, তিনি রামায়ণকে বিকৃত করেননি। কোনো অশ্লীল দৃশ্যও নেই। তবুও সেন্সর বোর্ড কোনো যুক্তি দিতে রাজি নন। শুধুমাত্র তারা বলেছেন বলেই বাদ দিতে হবে শব্দদুটি।
আপত্তির এখানেই শেষ নেই। একটি আইটেম গান ‘দোকান যে খুলেছি করবি কে বউনি’ নিয়েও খুঁতখুতে সেন্সর বোর্ড। গানের মাঝের কিছু পঙক্তি বাদ দিতে বলা হয়েছে। অরিন্দমের অভিযোগ, প্রথম সারির পরিচালকের ছবির সংলাপে দিব্যি গালাগালি ছাড় পেয়ে যায়। তবে ছোট আর নতুন পরিচালকদের ক্ষেত্রে এত বিধি নিষেধ কেন? সিনেমা নিয়ে জ্ঞানহীন, অযোগ্য লোকদের সেন্সরে বসিয়ে রাখা হয়েছে বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পরিচালক।
সংবাদ মাধ্যমকে অরিন্দম জানান, চিটফান্ডের টাকায় তৈরি হয়েছিল ছবিটি। শুটিং শেষ হতেই সারদা কাণ্ড নিয়ে গণ্ডগোল শুরু হল। তারপর থেকে ১০ বছর ধরে আটকে রয়েছে ছবির মুক্তি। অবশেষে এবার ছবিটি মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে।