বাংলাহান্ট ডেস্ক : আবারও এক প্রাচীন হিন্দু মন্দিরের উপর হামলার ঘটনা সামনে এল। যা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গেছে গোটা দেশে। জম্মুর ডোডা জেলার ভদ্রবাহ এলাকায় অবস্থিত শতাব্দী প্রাচীন বাসুকিনাগ মন্দিরে ভাঙচুর চালায় একদল দুষ্কৃতি। এই ঘটনায় রীতিমতো বিক্ষুব্ধ এলাকার সাধারণ মানুষ। বিভিন্ন স্থানীয় হিন্দু সংগঠন পথ অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ দেখতে শুরু করেছে বলে খবর। মন্দির এর উপর আক্রমণকারীদের কঠিন শাস্তির দাবি তুলছেন তাঁরা।
এই ঘটনায় রীতিমতো উত্তপ্ত ভদ্রবাহ এলাকা। এলাকার অধিকাংশ রাস্তাকেই একপ্রকার অবরুদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বাজারের সমস্ত দোকানপাট। বেশ কিছু বিক্ষোভকারী লক্ষ্মী-নারায়ণ চকে ধর্নায় বসে গেছেন বলেও জানা যাচ্ছে। ডোডা-ভদ্রবাহ রাস্তাও আটকে রেখেছেন বিক্ষোভকারীরা। এই পুরো ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পর্যটন শিল্প। রাস্তা আটকে রাখায় সাধারণ মানুষ বিশেষত পর্যটকদের নাকাল করা অবস্থা। ইতিমধ্যেই বিরাট পুলিশবাহিনী নিযুক্ত হয়েছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য। পুলিশ নরমে গরমে চেষ্টা করছে বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে যদি বিক্ষোভ উঠিয়ে পরিস্থিতি কোনও ভাবে সামলানো যায়। এরইমধ্যে বিক্ষোভ দেখানো হয় জম্মু সাংবাদিক ক্লাবের সামনেও।
ভদ্রবাহের বাসুকিনাগ মন্দির ভদ্রকাশীর মন্দির নামে বহুল প্রচলিত। অভিযোগ রবিবার গভীর রাতে এই সুপ্রাচিন মন্দিরটিতে হামলা চালায় এলদল দুষ্কৃতি। সোমবার সকালে যখন মন্দিরের পুরোহিত মন্দিরে পৌছন তখন চারিদিকের অবস্থা দেখে তিনিও হতবাক হয়ে যান। মন্দিরের বাইরে থেকে ভিতর পর্যন্ত চালানো হয় এই ধ্বংসলীলা।
ডোডা জেলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের একে কাশ্মীরের ক্ষুদ্র সংস্করণও বলা হয়ে থাকে। শুধু তাই নয়। এই বাসুকি নাগ মন্দিরটিও স্থাপত্য ও ভাস্কর্যের এক অদ্ভুত নির্দশন। মন্দিরে বাসুকি নাগ এবং জীমূতবাহনের মূর্তি স্থাপিত আছে। দুটি মূর্তিই একই পাথরে তৈরি। এই মন্দির থেকে একটু দূরেই রয়েছে কৈলাশ কুণ্ড। মনে করা হয় এটিই হলো বাসুকি নাগে আশ্রয়স্থল। এহেন ঐতিহ্যবাহী মন্দিরে ধ্বংসলীলা স্বাভাবিক ভাবেই সৃষ্টি করছে জনরোষ।