বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ১০০ দিনের কাজ সহ কেন্দ্রীয় বকেয়ার দাবিতে শুক্রবার থেকে ৪৮ ঘন্টার জন্য ধর্নায় বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রেড রোডে অম্বেডকর মূর্তির সামনে টানা দুদিন চলে তৃণমূলের ধর্না। আর সেখান থেকেই দেশের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কু কথা বলার অভিযোগ উঠেছে মমতার বিরুদ্ধে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে অশোভনীয় ভাষা ব্যবহারের প্রতিবাদে রবিবার প্রতিবাদ কর্মসূচী পালন করে বিজেপি যুব মোর্চা (Bharatiya Janata Yuva Morcha)।
প্রতিবাদ মিছিলে বিজেপির যুব শাখার কর্মীরা এক অভিনব উপায়ে প্রতিবাদ জানায়। প্রতীকী পদক্ষেপ হিসাবে মুখ্যমন্ত্রীর ঠোঁটে (ছবিতে) মধু ছবিতে মধু খাইয়ে প্রতিবাদ করে গেরুয়া শিবির। পাশাপাশি বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে বাংলা ভাষার ঐশ্বর্যের কথা মনে করিয়ে দিতে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের লেখা ‘বর্ণপরিচয়’-এর অনুলিপিও বহন করা হয়। রাজ্য বিজেপি তরফে এই প্রতিবাদ কর্মসূচীর ভিডিও এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করা হয়।
বিজেপির টুইট: https://x.com/BJP4Bengal/status/1754157871208825213?s=20
এই প্রসঙ্গে বিজেপি যুব নেতা ইন্দ্রনীল খান বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মোদীজির মতো একজন সম্মানিত নেতার বিষয়ে যা বলেছেন তা বাংলার সংস্কৃতি এবং আমাদের ঐতিহ্যের বিরুদ্ধে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।” প্রসঙ্গত, ধর্না শুরুর থেকেই একের পর এক ইস্যু তুলে কেন্দ্রীয় সরকারকে তোপ দাগেন মমতা। আর সেখানে দাঁড়িয়ে ভাষণ দেওয়ার সময়ই ‘কুকথা’, বলার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।
এদিকে সেই সময়ের ভিডিও ফুটেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে মমতাকে আক্রমণ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও (Sukanta Majumdar)। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সেখানে অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করেন, শহুরে মধ্যবিত্তদের ২ কোটি পাকা বাড়ি বানিয়ে দিতে প্রকল্প আনবে কেন্দ্র। কেন্দ্রের এই প্রতিশ্রুতিকেই কটাক্ষ করতে গিয়ে কু কথার প্রয়োগ করেন মমতা।
আরও পড়ুন: ‘দল থাকলে তবেই রোজগার থাকবে’, বিতর্কিত মন্তব্য করে জোর ফাঁসলেন তৃণমূলের লাভলি
কেন্দ্র সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সরাসরি আক্রমণ করার সময়ই ‘বাজে শব্দ’ বেরিয়ে যায় মমতার মুখ দিয়ে। আর এই ঘটনার পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনায় সরব হয়েছে বিজেপি। রবিবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে ঘটনার সময়ের ভিডিও পোস্ট করে সুকান্ত মজুমদার লেখেন, ‘অসম্মানজনক! পশ্চিমবঙ্গের অকথ্য ও নোংরা মুখের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যিনি নারী হয়ে সমবেদনার কার্ড খেলতে পারদর্শী, আর এদিকে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গালিগালাজ, যৌনতাবাদী ভাষা প্রয়োগ করেছেন। শুধু একজন নারী বলেই কি তিনি পার পেয়ে যাবেন? বাংলা উন্নত নেতৃত্বের দাবিদার।”