বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election ) পূর্বে তাজ্জব ঘটনা। এক স্ত্রীকে দেখা গেল ঘাসফুলে, অন্যদিকে আরেক স্ত্রী বিজেপির। এ যেন অনেকটা বর্তমানে বঙ্গের শাসক বিরোধীর সভা-পাল্টা সভার মতো। সিউড়িতে (Siuri) দুই সতীনের মধ্যে শাসক বনাম বিরোধী জোরদার লড়াই।
প্রসঙ্গত, ৫ বছর আগে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় দুষ্কৃতীদের গুলিতে ভোটযুদ্ধে নিহত হয়েছিলেন দিলদার শেখ নামক এক ব্যক্তি। এবার পাঁচবছর পর আরও এক পঞ্চায়েত নির্বাচন। দিলদার নেই, তবে তাঁকে কেন্দ্র করে পঞ্চায়েত ভোট আবহে দিলদারের দুই বিধবা স্ত্রী নেমেছেন ভোট প্রচারে। তবে ভিন্ন ভিন্ন দলের হয়ে।
বৃহস্পতিবার বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা ব্লক অফিসে হাজির হয়েছিলেন দিলদারের এক স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে। শুক্রবার তৃণমূলের ব্লক সভাপতিকে সঙ্গে নিয়ে ব্লক অফিসে দেখা গেল দিলদারের অন্য স্ত্রীকে। ঘটনাটি সিউড়ির কড়িধ্যা গ্রাম পঞ্চায়েতের।
তবে এখানেই শেষ নয়, কাহিনীতে টুইস্ট এখনো বাকি। তৃণমূল এবং বিজেপি, দুই শিবিরেরই দাবি, তাদের সঙ্গে থাকা মহিলাই দিলদারের ‘আসল বৌ’। বৃহস্পতিবার বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহাকে নিয়ে ব্লক অফিসে হাজির হয়েছিলেন দিলদারের এক ‘বিধবা স্ত্রী’ ফিরোজা বেগম। সেখানেই স্বামীর মৃত্যুর পর কোনো সুযোগ শিবিধা না পাওয়ায় অভিযোগ জানান তিনি। অন্যদিকে শুক্রবারই তৃণমূলের ব্লক সভাপতিকে সঙ্গে নিয়ে ব্লক অফিসে হাজির দিলদারের ‘আরেক স্ত্রী’ লুৎফা বিবি।
ফিরোজা বেগমের দাবি সেই দিলদারের আসল স্ত্রী। এর আগেও বিডিও অফিসে গিয়ে ফিরোজা বেগম অভিযোগ করে, ‘আমি দিলদার শেখের বউ। আমি কিছুই পাইনি। আবাস যোজনার বাড়িও পাইনি। আমাদের বাড়িতে একটা বাথরুমও নেই।’ অন্যদিকে লুৎফা বিবির দাবি, দিলদারের কোনও দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী ছিল না। তার দাবি ফিরোজা বেগম নামে ওই মহিলাকে দ্বিতীয় স্ত্রী সাজিয়ে বিডিও অফিসে নিয়ে এসেছিল বিজেপি। তিনি আরও বলেন, পয়সা দিয়েছে তাই এসেছে। ভুল বুঝিয়ে ওনাকে নিয়ে এসেছে বিজেপি।আমরা দিদির পাশে ছিলাম, আগামীতেও দিদির পাশেই থাকব।’ সব মিলিয়ে বেগম-বিবির দ্বন্দে পঞ্চায়েত ভোটের আগেই উত্তপ্ত সিউড়ির কড়িধ্যা গ্রাম পঞ্চায়েত।