বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ট্রাম্পের শাসন কাল শেষে বিডেনের (joe biden) আগমনে কিছুটা আশার আলো দেখেছিলেন জিনপিং (xi jinping)। কিন্তু চীনের আশায় জল ঢেলে দিল আমেরিকা। বিডেন সরাসরি জানিয়ে দিলেন, প্রতিবেশি দেশের উপর চীনের দাদাগিরি একদমই না পসন্দ বিডেনের। সেই কারণে তিনি নজর রাখছেন ড্রাগনের কর্মকান্ডের উপর।
মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বিডেনের প্রশাসন স্পষ্টভাবেই জানিয়ে দিয়েছে, তাদের নজর রয়েছে ভারত চীন সীমা বিবাদের উপর। আমেরিকার ন্যাশানাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের প্রবক্তা জানিয়েছেন, ‘আমরা বর্তমান পরিস্থিতির উপর লাগাতার নজর রেখে চলেছি। ভারত এবং চীনের মধ্যেকার উত্তপ্ত পরিস্থিতির বিষয়ে আমরা আবগত। শান্তিপূর্ণ সীমা বিবাদের লক্ষ্যে এগোচ্ছি আমরা’।
ভারতের উপর চীনের দাদাগিরির বিষয়ে তিনি জানিয়েছেন, ‘প্রতিবেশি দেশের উপর জুলুমবাজি করার বেজিং-র ধরণ নিয়ে আমরা কিছুটা চিন্তিত। আমরা আমাদের বন্ধু, শুভাকাঙ্খীদের পাশে থাকব, এবং তাদের যথা সম্ভব সাহায্য করব’। আমেরিকার সত্ত্বায় আসার পর বিডেন প্রশাসনের এমন মন্তব্যের জেরে কিছুটা চেপে রয়েছে চীন সরকার।
অন্যদিকে দেশের সুরক্ষা প্রসঙ্গে ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ জানিয়েছেন, ‘নিয়ন্ত্রণ রেখায় সেনাবল আরও বাড়িয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। দেশের সুরক্ষায় সেনাবাহিনী নিজের সম্পূর্ণভাবে নিয়োজিত রেখেছে। সেইকারণেই LAC-তে অতিরিক্ত সেনাবল বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে’।
আবার, আমেরিকার প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ‘আমরা চীন বা অন্য কোন আক্রমণাত্মক দেশের উপর নজর রাখছি। বর্তমান সময়ে চীন আমাদের নজরে রয়েছে’।
মার্কিন সত্ত্বা বদলে প্রথম আনন্দ পেলেও, এখন চীন দেখছে- ট্রাম্পের থেকে কোন অংশে কম নয় বিডেন। ট্রাম্প যেভাবে চীনের উপর নজর রেখেছিলেন, জো বিডেন হয়ত তার থেকে কয়েকগুণ এগিয়ে থাকবেন।