পাঁচ দশকে জন্ম-মৃত্যুহারে অস্বাভাবিক পরিবর্তন! দেশের জনসংখ্যা নিয়ে প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট

Published on:

Published on:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিশ্বের মধ্যে সবথেকে জনবসতিপূর্ণ দেশের মধ্যে পয়লা নম্বরে উঠে এসেছে ভারত (India)। চিনকে পেছনে ফেলে দু বছর আগেই এই তকমা দখল করেছে ভারত। তবে দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রেও বড় ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটেছে। বিশ্ব দরবারে ভারতকে (India) আরও উচ্চস্থানে নিয়ে যেতে লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে সরকার। এই উন্নয়নের প্রভাব যে সার্বিক স্তরে পড়ছে তা প্রমাণ হল আবারও। দেশে (India) উল্লেখযোগ্য ভাবে কমল জন্ম এবং মৃত্যুহার।

ভারতে (India) জন্ম এবং মৃত্যু হারে ব্যাপক পরিবর্তন

সাম্প্রতিক এক খবরে জানা গিয়েছে, ১৯৪৭ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত ভারতে (India) জন্ম এবং মৃত্যু হার অর্ধেকে নেমে এসেছে। কমেছে গর্ভবতী বা প্রসূতি মৃত্যু এবং শিশু মৃত্যুর হার। জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালে ভারতে (India) জন্মহার ছিল ২১.৪। ২০২৩ এ তা দাঁড়িয়েছে ১৮.৪ এ। প্রতি বছর প্রতি ১০০০ জনে কতজন শিশু জন্ম নিচ্ছে তা থেকে নির্ধারিত হয় জন্মহার। জানা গিয়েছে, ১৯৭১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে অর্থাৎ ৫২ বছরে জন্মহার নেমে গিয়েছে ৩৬.৯ থেকে ১৮.৫ এ।

Big change in India birth and death rate

কত কমেছে মৃত্যু হার: অন্যদিকে ২০১৩ তে মৃত্যু হার যেখানে ছিল ২১.৪, সেখানে ২০২৩ এ তা এসে দাঁড়িয়েছে ৬. ৪ এ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর নেপথ্যে কারণ মূলত সামাজিক উন্নয়ন এবং সচেতনতা বৃদ্ধি। জনস্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বিরাট পরিবর্তন এসেছে। টিকাকরণ, পুষ্টি এবং প্রজনন স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সচেতনতা বৃদ্ধি, স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র স্থাপনে সরকারের উদ্যোগ লক্ষণীয়। পাশাপাশি সাক্ষরতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও সরকারের উদ্যোগ প্রভাব ফেলেছে।

আরও পড়ুন : পুজোয় পাতে ইলিশ পড়বে না, তা কি হয়? ঠাকুরবাড়ির স্পেশ্যাল রেসিপিতে রাঁধুন এই পদ, মুখে লেগে থাকবে স্বাদ

নেপথ্যে কী কারণ: জানা যাচ্ছে, মহিলাদের মধ্যে শিক্ষার হার (India) আগের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে। এর ফলে স্বাস্থ্যবিধি, শিশুদের যত্নের বিষয়ে সচেতন হয়েছেন বহু মহিলা। ফলে কমেছে মৃত্যুহার। অন্যদিকে পরিবার পরিকল্পনা এবং জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সহজলভ্য হওয়ায় এবং এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়ায় নিয়ন্ত্রণে এসেছে জন্মহার।

আরও পড়ুন : সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে বাংলায় ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’? বঙ্গ বিজেপির বিশেষ উদ্যোগে গুরুদায়িত্ব রূপা-রুদ্রনীলের কাঁধে!

আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে পরিবর্তনও বড় প্রভাব ফেলেছে। দারিদ্র্য হ্রাস পেয়েছে, মানুষের জীবনযাত্রার মান অনেকাংশে উন্নত হয়েছে। সব মিলিয়েই এই বিপুল পরিবর্তন এসেছে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। রাজ্যভিত্তিক সমীক্ষার খবর অনুযায়ী, ছত্তিশগড়ে মৃত্যুহার ৮.৩, যা সবথেকে বেশি। আর চণ্ডীগড়ে মৃত্যুহার সবথেকে কম, ৪.০।