বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সন্দেশখালি (Sandeshkhali) আন্দোলনের প্রতিবাদী মুখ মুখ রেখা পাত্রকে (BJP Candidate Rekha Patra) এবার বসিরহাট (Basirhat) থেকে টিকিট দিয়েছে গেরুয়া শিবির। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে প্রার্থী হিসেবে গৃহবধূ রেখার নাম চূড়ান্ত করেছেন। তৃণমূলের হেভিওয়েট প্রার্থীর বিপক্ষে গৃহবধূ রেখার নাম সামনে আসতেই তাকে নিয়ে চর্চার শেষ নেই। সম্প্রতি জানা যায় রেখা রাজ্য সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের গ্রাহক। এবার এই ইস্যুতেই মুখ খুললেন বিজেপি প্রার্থী নিজে।
কিছুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সন্দেশখালির বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র রাজ্য সরকারের একাধিক প্রকল্পের গ্রাহক।’ এরপরই শাসকদলের তরফে রেখার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সংক্রান্ত নথিপত্র প্রকাশে আনারও অভিযোগ সামনে আসে। যা নিয়ে বিস্তর জলঘোলাও হয়েছিল। শত বিতর্কের মাঝে এবার সন্দেশখালির রেখা নিজেই মুখ খুললেন। বললেন,লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে বেশ করেছি।
সন্দেশখালি ইস্যুতে গত জানুয়ারি মাস থেকে তপ্ত বাংলা। সেখানের স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের অত্যাচার, অভিযোগের শেষ নেই। ওদিকে এই ইস্যুকে হাতিয়ার করে বিজেপি তরফে বারংবার অভিযোগ হয়েছিল সন্দেশখালির মানুষ রাজ্যের প্রকল্পের সুবিধা পান না। এরপর এই ইস্যুতেই আসরে নামেন তমলুকের তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য।
সম্প্রতি সোশাল মিডিয়ায় একাধিক তথ্য প্রকাশ করে দেবাংশু দেখান রেখা পাত্র নিজেই যে রাজ্য সরকারের একাধিক প্রকল্পের সুবিধা পান। ওদিকে এর নিন্দা করে এদিন রেখা বললেন, “লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে আমার ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস করে তৃণমূল ও দেবাংশু ভট্টাচার্য ঘৃণ্য কাজ করেছেন।”
‘যেখানে লক্ষীর ভাণ্ডার সরকারি প্রকল্প। সাধারণ মানুষের টাকায় প্রকল্প। সেখানে রাজনীতির যোগ কোথায়? তৃণমূল বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি নিজের ব্যক্তিগত সম্পত্তি থেকে এসব করছেন?’ শাসকদলকে তীব্র আক্রমণ করেন রেখা।
আরও পড়ুন: এপ্রিল নয়, মে’তেই প্রকাশ হবে মাধ্যমিকের রেজাল্ট? কোন দিন? জানা গেল সম্ভাব্য তারিখ
পাশাপাশি তিনি অভিযোগ তোলেন, ‘ সন্দেশখালিতে আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা সব কিছু বন্ধ করে দিয়েছে সরকার।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি আক্রমণ করে রেখা বলেন, “ মুখ্যমন্ত্রী হয়েও গুন্ডাদের প্রশ্রয় দিচ্ছেন মমতা। ভোটের আগে এলাকায় সন্ত্রাস করে ভয় দেখিয়ে মানুষকে দলে টানার চেষ্টা চলছে। তবে এসবে আর কাজ হবে না। আমি পিছিয়ে আসব না। মা, বোনেদের জন্য তাদের পাশে নিয়ে লড়াই চলবে। ৫০০-১০০০ টাকা দিয়ে মহিলাদের সম্মান কেনার নোংরা চেষ্টাও বন্ধ হবে বলে হুঙ্কার করেন রেখা।