সন্দেশখালির বিজেপির পিয়ালি ও গঙ্গাধরকে নিয়ে বড় রায়! হাইকোর্টে মুখ পুড়ল রাজ্যের

বাংলা হান্ট ডেস্ক: সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ভাইরাল ভিডিও (Viral Video) কন্ডে হাইকোর্ট থেকে জোড়া স্বস্তি পেল বিজেপি। এদিন মামলা চলাকালীন বিচারপতি জয় সেনগুপ পুলিশ এবং নিম্ন আদালতের ভূমিকাকে ভর্ৎসনা  করে বিজেপি নেত্রী পিয়ালী ওরফে মাম্পি দাসকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এদিন ব্যক্তিগত বন্ডে  জামিন পেয়েছেন সন্দেশখালি বিজেপি নেত্রী।

সম্পূর্ণ জামিন যোগ্য মামলাতেও তাঁকে এইভাবে হেফাজতে রাখায় প্রচন্ড ক্ষোভ প্রকাশ করে পিয়ালী দাসকে অবিলম্বে মুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির জয় সেনগুপ্ত। অন্যদিকে ভিডিও ভিডিও কান্ডে যুক্ত বিজেপির আরও এক নেতা গঙ্গাধর কয়েলের বিরুদ্ধেও কোনো কড়া পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না বলে মৌখিক নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।

   

জানা যাচ্ছে এদিন গঙ্গাধরের মামলা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে ফেরত পাঠিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। কিছুদিন আগেই অর্থাৎ ১০ মে, সন্দেশখালির ভাইরাল ভিডিও কান্ডে হাইকোর্টের দ্বারস্থ  হয়েছিলেন সন্দেশখালি দু’নম্বর মন্ডলের বিজেপি সভাপতি গঙ্গাধর কয়াল। আদালতের কাছে তাঁর অভিযোগ ছিল এই যে, তাঁর ছবি ব্যবহার করে ভুয়ো ভিডিও বানিয়ে সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করা হয়েছে।

Calcutta High Court

তাই ভুয়ো ভিডিও তৈরির অভিযোগে এবং কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ  হয়েছিলেন তিনি। সেইসাথে তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা FIR খারিজ করার দাবিও জানিয়েছিলেন গঙ্গাধর। অন্যদিকে সন্দেশখালি আন্দোলনের অন্যতম মুখ পিয়ালীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের ইস্যুতে তাঁকে তলব করেছিল পুলিশ। কিন্তু হাজিরা না দিয়ে মঙ্গলবারেই বসিরহাট মহকুমা আদালতে আত্মসমর্পণ করেছিলেন বিজেপি নেত্রী।

আরও পড়ুন: ‘গাড়ি ধাক্কা দিয়ে…’ মমতা-অভিষেককে খুনের হুমকি দিয়ে পোস্টার! ব্যাপক চাঞ্চল্য উলুবেড়িয়ায়

কিন্তু সেদিনই সন্দেশখালির এই বিজেপি নেত্রীকে গ্রেফতার করে নিয়ে ৮ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। কিন্তু পিয়ালীর আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার দাবি করেছিলেন তাঁর বাড়িতে যখন নোটিশ টানানো হয়েছিল তখন তাতে জামিন অযোগ্য ধারা ছিল না। কিন্তু পিয়ালী আত্মসমর্পণ করার পরেই জামিন অযোগ্য ধারার কথা বলে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

এছাড়াও এদিন পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয় নিম্ন আদালতে কেস ডায়রিও পেশ করেনি পুলিশ।   প্রসঙ্গত সন্দেশখালি নিয়ে সম্প্রতি বেশ কিছু ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যার মধ্যে একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে এক মহিলা বিস্ফোরক দাবি জানিয়ে বলেছেন সাদা কাগজের সই করিয়ে পরে সেখানে ধর্ষণের অভিযোগ লেখানো হয়েছিল। তা করিয়েছিলেন নাকি এই বিজেপি নেত্রী পিয়ালী দাস।

Gangadhar koyal

যদিও এই ভিডিও গুলির সত্যতা যাচাই করেনি বাংলা হান্ট। বিজেপি নেত্রী পিয়ালীর বিরুদ্ধে ৪৪৮, ৩৪১, ৩২৩, ৩২৫ সহ সমস্ত জামিন যোগ্য ধারায় মামলা করেছে পুলিশ। পরে ১৯৫এ ধারায় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছেও  পিয়ালির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায় পুলিশ। যদিও বৃহস্পতিবার বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দিয়েছেন নতুন মামলায় পিয়ালীকে গ্রেপ্তার করতে পারবে না পুলিশ। সেইসাথে জানানো হয়েছে শনিবার পর্যন্ত পিয়ালী দাসের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না।

Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর