বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গোটা ভারত (INDIA) জুড়ে করোনার নামের মহামারীর কারণে আতঙ্কে রয়েছেন নেতা থেকে সাধারণ মানুষ। করোনাকে হারানোর জন্য প্রতিটি রাজ্যের সরকার এবং কেন্দ্র সরকার নতুন নতুন নির্দেশিকা লাগু করেই চলছে। আর এই আতঙ্কের মধ্যেও রাজনীতির হানাহানি বন্ধ থাকছে না। গতকাল উত্তর প্রদেশে বিজেপির (Bharatiya Janata Party) এক নেতাকে রাস্তায় ততক্ষণ গুলি মারা হয়, যতক্ষণ না তাঁর প্রাণ বেরিয়ে যায়। বিজেপির নেতাকে খুন করার পর দুষ্কৃতীরা সহজেই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহকে পোস্টমর্টেমের জন্য পাঠায় এবং দোষীদের শীঘ্রই গ্রেফতার করার প্রতিশ্রুতি দেয়।
বিজেপির ওই সংখ্যালঘু নেতার নাম ইউনুস আহমেদ (ডাম্পি) বলে জানা যাচ্ছে। ডাম্পি উত্তর প্রদেশের সংখ্যালঘু সেলের মহানাগর সহসভাপতি ছিলেন। বিজেপি নেতার পরিজনেরা জানান, ডাম্পির জমি নিয়ে সিরাজউদ্দিন, ইসামুদ্দিন আর আসিফের সাথে বিবাদ চলছি। আর এদের বিরুদ্ধে দুই বছর আগেই থানায় মোকদ্দমা দায়ের করা হয়েছিল। গতকাল সকালে ডাম্পি নিজের বাড়ির সামনে বসে ছিলেন, আর তখনই সিরাজউদ্দিন, ইসামুদ্দিন আর একজন অজ্ঞাত পরিচয় যুবক আসে। তাঁদের হাতে পিস্তল ছিল। তাঁরা ডাম্পির উপর একের পর এক গুলি চালিয়ে যায়। এরপর ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
বিজেপির নেতার হত্যার খবর পাওয়ার পরেই পুলিশের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এসএসপি শৈলেশ কুমার পাণ্ডে ডগ স্কোয়াড আর পুলিশ ফোর্সের সাথে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। শহরের সব থানার পুলিশ সমস্ত জায়গায় নাকাবন্দি করে দিয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছান এসএসপি বলেন, জমি বিবাদের কারণে সিরাজউদ্দিন আর ইসামুদ্দিনের বিরুদ্ধে ডাম্পির হত্যার অভিযোগ উঠেছে। খুব শীঘ্রই তাঁদের গ্রেফতার করা হবে।
উল্লেখ্য, গতকালই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ১৯ দিনের লকডাউন বাড়িয়ে ৩রা মে পর্যন্ত করেন। উনি এও বলেছিলেন যে, দ্বিতীয় পর্যায়ের এই লকডাউনে আগের থেকে বেশি কড়া নিয়ম জারি হবে। গোটা দেশ করোনার আতঙ্কে ভুগছে, আর এর মধ্যে মানুষ রাজনৈতিক এবং পারিবারিক বিবাদকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে। আর সেটার জলজ্যান্ত দৃষ্টান্ত হল উত্তর প্রদেশের এই বিজেপির নেতার হত্যা।
‘মৃত্যুকুম্ভ’ মন্তব্যের পর তীব্র কটাক্ষ! এবার মমতার সন্দেহ ‘১৪৪ বছর’ পর মহাকুম্ভ নিয়ে