নির্মাণ শ্রমিক কল্যাণের টাকায় রেল দুর্ঘটনার সাহায্য দেবে রাজ্য সরকার! বিস্ফোরক শুভেন্দু

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত শুক্রবার ওড়িশায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় (Odisha Train Accident) প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ২৭৫ জন। আহতের সংখ্যাটা পেরিয়েছে হাজার। দুর্ঘটনার পরদিনই ঘটনাস্থলে যান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত এবং আহদের পরিবারের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দেওয়ার কথা আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে। সেই মতোই আজ তাদের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দেবেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

বুধবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দেবেন। মমতার এই পদক্ষেপে একদিকে যেখানের সামান্য হলেও স্বস্তি পেয়েছেন সেই অসহায় পরিবার গুলো, অন্যদিকে ঠিক তার কয়েক ঘণ্টা আগেই এই নিয়ে বিস্ফোরক বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

নন্দীগ্রামের বিধায়কের দাবি, ‘ নির্মাণ শ্রমিক কল্যাণের টাকা রেল দুর্ঘটনার সহায়তায় দেবে রাজ্য সরকার’। ঠিক এমনই অভিযোগ সামনে এনে টুইট করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। আর তাতেই শুরু রাজনৈতিক তরজা।

প্রসঙ্গত, দুর্ঘটনার পর থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলির পাশে দাঁড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবারও মুখ্যমন্ত্রী ভুবনেশ্বর গিয়ে আহত যাত্রীদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন। দুর্ঘটনায় দক্ষিণ দিনাজপুরের (South Dinajpur) হরিরামপুর থানা এলাকার বাসিন্দা রিয়াজ আফ্রিতির হাত চলে যাওয়ায় তার কৃত্রিম হাত দেওয়ার জন্য এসএসকেএম কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন মাননীয়া।

দুর্ঘটনার পরই মমতা বলেছিলেন ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকবেন তিনি। সেই মতোই আজ অসহায় পরিবার গুলোকে আর্থিক সাহায্য প্রদানের ব্যবস্থা করেছে মমতা সরকার। তবে এই নিয়েও সরব শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতা আগেই জানিয়েছিলেন অসহায় পরিবারগুলোকে রাজ্য সরকার আর্থিক সাহায্য করলে কোনও আপত্তি নেই।

তবে রেল দুর্ঘটনায় হতাহত পরিবারগুলোর আর্থিক সহায়তার জন্য নির্মাণ শ্রমিক কল্যাণ তহবিল থেকে কেন অর্থ খরচ কেন করা হবে, সেই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। তার কথায়, নির্মাণ শ্রমিক কল্যাণ তহবিলের টাকা অন্য খাতে খরচ করা হলে এই তহবিলের যারা আসল উপভোক্তা তারা বঞ্চিত হবে।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর