বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিরোধীদের মিটিং-মিছিল হোক বা সভা, সর্বদাই বাধা দিয়ে থাকে পুলিশ প্রশাসন। অভিযোগ শোনা যায় বিরোধী শিবিরের মুখে। চলতি সপ্তাহেই উত্তরবঙ্গে দলের আহত কর্মীকে দেখতে গিয়ে পুলিশি বাধা পান সুকান্ত আর রবিবার হাইভোল্টেজ বাম যুবদের ব্রিগেড সমাবেশের দিনই বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে (BJP State President Sukanta Majumder) ফের বাধা। বিজেপি সাংসদের মিছিলে বাধার ঘটনায় পুলিশ এবং বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ধস্তাধস্তি লেগে গেল।
রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন সুকান্ত। বেশ কিছুক্ষণের জন্য যানচলাচলও আটকে যায়। পুলিশ সেখান থেকে বিজেপিকে তুলতে গেলে পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পরে গেরুয়া শিবির। এরপর অ্যাকশন নিতে নামানো হয় বিশাল পুলিশবাহিনী।
এদিন হুগলির ডানকুনির চৌমাথা থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে হাওড়ার ডোমজুড় থানা পর্যন্ত বিজেপির বিজেপির বাইক মিছিল ছিল রবিবার। বিজেপির শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার যুব মোর্চার উদ্যোগে এই কর্মসূচীর উদ্যোগ নেওয়া হয়। বিজেপি আয়োজিত র্যালিতে অংশ নেন সুকান্ত মজুমদার-সহ জেলা নেতৃত্ব।
প্রথমে সিএন মুখার্জি রোডে পুলিশের ব্যারিকেড করে বিজেপির র্যালি আটকে দেয় পুলিশ। সেখানে বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা ব্যারিকেড ভেঙে সামনে এগিয়ে যান। তবে কিছুটা দূরে ডানকুনির হাউজ়িং মোড়ে ফের পুলিশের ব্যারিকেডে আটকে যায় বিজেপি। সেখান থেকে আর ব্যারিকেড ভাঙতে পারেনি গেরুয়া শিবির। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে গেরুয়া শিবির। সেখানেই রাস্তায় বসে পড়েন সুকান্ত। ক্রমশ্য উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ।
একে একে বিজেপি কর্মীদের রাস্তা থেকে তুলে দিতে শুরু করে পুলিশ। চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। ঘটনা প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, ‘‘কোনও প্ররোচনা ছাড়াই পুলিশ আমাদের কয়েক জনকে আটক করে ভ্যানে তুলে নেয়। আমি কোনও রকমে ধস্তাধস্তি করে তাদের ছাড়িয়ে আনি। পুলিশ সেই সময় আমাদের দুই কর্মীর মাথায় লাঠি মারে। এরা পুলিশ না তৃণমূলের গুন্ডা! এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাতেই আমরা জাতীয় সড়ক অবরোধ করতে বাধ্য হই।”
আরও পড়ুন: ‘আমফানের ত্রাণ সামগ্রী লুঠ করে বিক্রি করেছেন সওকতরা’, বিস্ফোরক ভিডিও সামনে আনলেন শুভেন্দু
সুকান্ত আরও বলেন, ” কখনওই জাতীয় সড়ক অবরোধ করে আমরা প্রতিবাদ জানাতে চাই না। এতে দেশের ক্ষতি হয়। কিন্তু কোনও রাস্তা ছিল না। আজকে আমরা আজ বাধ্য হলাম অবরোধ করতে। আমাদের যে কর্মীকে লাঠিপেটা করা হয়েছে তাকে যে মেরেছেন, তার বিরুদ্ধে তদন্ত হবে বলে পুলিশ আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন। তাই আমারা আজ অবরোধ তুলে নিচ্ছ। যদি ওরা প্রতিশ্রুতি না রাখে এরপর আমরা থানা ঘেরাও করব।’’