বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিশ্ববিদ্যালয় গুলির আচার্য পদে বসার জন্য আইনি প্রক্রিয়া শুরুর পথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ইস্যুতেই তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। এবার আচার্য বদল নিয়েই মমতাকে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ভগবানপুরের বাজকুল এলাকায় কেন্দ্রীয় সরকারের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন শুভেন্দু। সেখান থেকেই মমতাকে স্পষ্টতই হুঁশিয়ারি দিতে দেখা যায় তাঁকে। আচার্য বদল হলে সর্বশক্তি দিয়েই তা প্রতিহত করবেন বিজেপি বিধায়করা এমন দাবি করে এদিন তিনি বলেন, ‘খুব স্পষ্টভাবেই বলে দিলাম, চ্যান্সেলার পরিবর্তন এত সহজ নয়। বিধানসভায় বিল আনতে হবে। সেখানে বিজেপি বিধায়করা সর্বশক্তি দিয়ে তা আটকানোর চেষ্টা করবেন। এরপরও সেই বিল মহামান্য রাজ্যপালের কাছে পাঠাতে হবে। শুধু তাইই নয়, শিক্ষা কেন্দ্র এবং রাজ্যেত যৌথ দায়িত্বে থাকায় কেন্দ্রের কাছ থেকেও অনুমোদন নিতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সব ইচ্ছা মোটেই পূরণ হতে দেব না আমরা।’
বৃহস্পতিবারই রাজ্যের বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ঘোষণা করেন যে রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদে বসতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন ব্রাত্য বসু বলেন, ‘রাজ্যের মন্ত্রীসভা সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে পশ্চিমবঙ্গে যত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে তার আচার্য পদে রাজ্যপালের বদলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নাম থাকবে। এটা এবার বিধানসভায় যাবে। তারপর আইন হিসেবে বলবৎ করা হবে।’
যদিও শাসকদলের এহেন সিদ্ধান্ত জানাজানি হতেই ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিরোধী নেতারা। এই সিদ্ধান্তের নিন্দা করে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারের দাবি, ‘পশ্চিমবঙ্গে নজিরবিহীন ঘটনা ঘটে গেল। এরকম ঘটনা আগে ভারতের কোথাও হয়নি।’ অন্যদিকে কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীর অভিযোগ সার্বভৌম ব্যবস্থা তুলে দিতে চাইছেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী। একই অঅভিযোগ বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর গলাতেও। তাঁর দাবি, ‘আসলে সব কিছুতেই মুখ্যমন্ত্রীর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রন চাই। শিক্ষাক্ষেত্রে ভাইস চ্যান্সেলারদের উপরেও তিনি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চাইছেন।’ বলাই বাহুল্য এই ইস্যুকে ঘিরে তুমুল শোরগোল রাজ্য রাজনীতিতে।