আরাবুলের বাড়ির পেছন থেকে উদ্ধার তাজা বোমা সহ আগ্নেয়াস্ত্র! গ্রেফতার ৩ ISF কর্মী!

বাংলা হান্ট ডেস্কঃপঞ্চায়েত ভোট পূর্বে শুক্রবার থেকেই ধুন্ধুমার দশা ভাঙড়-এ (Bhangar)। তৃণমূল (TMC) এবং আইএসএফ (ISF)-এর দফায় দফায় সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। একে অপরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগে সরব দুই দল। মারামারি -হাতাহাতি থেকে শুরু করে বোমাবাজি, অফিসে তান্ডব সব মিলিয়ে এখনও যথেষ্ট উত্তপ্ত গোটা পরিস্থিতি। শনিবার এই ঘটনার আঁচ ছড়িয়েছিল কলকাতাতেও। এই আবহেই রবিবার ভাঙড় থেকে উদ্ধার হল বস্তাভর্তি তাজা বোমা (Bomb Recovered), তাও আবার তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের (Arabul Islam) বাড়ির পিছনের চাষের জমি থেকে! সাতসকালে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।

জানা গিয়েছে, এদিন সকালে হঠাৎই বস্তাভর্তি বোমা নজরে পরে সকলের। সময় নষ্ট না করেই তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। তৃণমূল নেতা আরাবুলের বাড়ির পিছন দিক থেকে বোমা উদ্ধার হওয়ায় থমথমে গোটা এলাকা। পাশাপাশি একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারেরও খবর মিলেছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে তিন আইএসএফ (ISF) কর্মীকে। তবে প্রকৃতপক্ষে কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তা এখনও স্পষ্ট নয়। শুরু হয়েছে তদন্ত।

বোমা উদ্ধারের ঘটনার পর আরাবুল ইসলামের ছেলে হাকিবুল জানান, “কাল রাতে আইএসএফের কর্মীরা বোমা-বন্দুক নিয়ে এই জায়গাতেই বসেছিল। তৃণমূলের কর্মীদের উপর হামলা চালানোরই চক্রান্ত করছিল। তবে সাধারণ মানুষ সেই খবর আগেই পেয়েছিল। তাঁরাই পুলিশকে খবর দেন। তারপরেই আগের দিন যাঁরা এখানে গুলি চালিয়েছে, অশান্তি পাকিয়েছে তাঁদের মধ্যে তিনজন ধরা পড়েছে।”

isf tmc

প্রসঙ্গত, ভাঙড় কাণ্ডের জেরে শনিবার আইএসএফ কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায় ধর্মতলা চত্বরে। আইএসএফ নেতা নওশাদের উপর শাসকদলের আক্রমণের প্রতিবাদে সরব হন আইএসএফ কর্মীরা। চলে পথ অবরোধ, পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক ধস্তাধস্তি । ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় আইএসএফ নেতা নওশাদ সহ আরও ১৯ জন আইএসএফ কর্মীকে। সূত্রের খবর, তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর