বাংলা হান্ট ডেস্ক : গুরুতর অসুস্থ রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharya)। শ্বাসকষ্টের সমস্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় তাঁকে ভর্তি করানো হচ্ছে আলিপুরের বেসরকারি হাসপাতালে। সূত্রের খবর, রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে বালিগঞ্জের পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়ি থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কম রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আপাতত তাঁকে হাসপাতালের আইসিইউ-তে ভর্তি করানো হবে বলে জানা গিয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, শনিবার সকাল থেকেই অসুস্থতা বৃদ্ধি পায় বুদ্ধদেবের। তাঁর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমতে শুরু করে। চিকিৎসকেরা তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর সিদ্ধান্ত নেন। সেই মতো পাম অ্যাভিনিউ থেকে অ্যাম্বুল্যান্সে বুদ্ধদেবকে নিয়ে আলিপুরের হাসপাতালের দিকে রওনা হওয়া হয়। সূত্রের খবর, রাস্তায় বুদ্ধদেবের শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। সে জন্য আলিপুরের বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার অ্যাম্বুল্যান্স পাঠানো হয়। যদিও এ বিষয়টির আনুষ্ঠানিক সত্যতা স্বীকার করেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বুদ্ধদেবের সিওপিডি-এর সমস্যা রয়েছে। ২০২১ সালে তিনি করোনাতেও আক্রান্ত হয়েছিলেন। সেই সময় ২০২১ সালের ১৮ মে করোনা আক্রান্ত হয়ে নিভৃতবাসে ছিলেন বুদ্ধদেব। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সে বছর ২৫ মে তাঁকে আলিপুরের এই বেসরকারি হাসপাতালেই তাঁকে ভর্তি করানো হয়েছিল। ২০২১-এর ২ জুন আলিপুরের হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয় বুদ্ধদেবকে। তার পর কিছু দিন সিআইটি রোডের একটি নার্সিংহোমে ছিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে ১৮ মে করোনায় (Corona Virus) আক্রান্ত হন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। বাড়িতে হোম আইসোলেশনে তাঁকে রেখে চিকিৎসা শুরু হয়। কারণ, হাসপাতালে যেতে একেবারেই নারাজ ছিলেন বুদ্ধদেববাবু। একইসঙ্গে তাঁর স্ত্রীও কোভিড পজিটিভ হন। তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করে চিকিৎসা শুরু হয়। তিনি সুস্থ হয়ে বাড়িও ফিরে আসেন। আচমকাই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শরীরে অক্সিজেনের (Oxygen) মাত্রা অনেকটা নেমে যায়। উদ্বেগ বাড়তে থাকায় চিকিৎসকরা তাঁকে আর বাড়িতে রাখার ঝুঁকি নেননি। ভরতি করা হয় উডল্যান্ডস হাসপাতালে। সেখানে ডাক্তার কৌশিক চক্রবর্তী, ধ্রুব ভট্টাচার্য, সৌতিক পণ্ডার অধীনে চিকিৎসা শুরু হয়। পরে তাঁর জন্য ৫ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড তৈরি হয়। তাঁদের চিকিৎসায় ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন বুদ্ধবাবু। জুনের ৯ তারিখ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন।
গত কয়েকদিন ধরেই ফের অসুস্থতা বাড়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর। তাঁর রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা অনেকটাই কমেছে। গত তিনদিন ধরে বাড়িতেই চিকিৎসা চলছিল। চিকিৎসক বাড়িতেই চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিলেন। কিন্তু সকাল এগারোটা থেকে শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছিল। খবর দেওয়া সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমকে। তিনি বাড়িতে যান। আর ঝুঁকি না নিয়ে হাসপাতালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় আলিমুদ্দিন নেতৃত্ব। কার্যত আচ্ছন্ন অবস্থায় রয়েছেন বুদ্ধবাবু। একাধিক বার্ধক্যজনিত অসুস্থতাও রয়েছে।