বাংলাহান্ট ডেস্ক: একের পর এক বিতর্কে ফাঁসছে এডু-টেক প্ল্যাটফর্ম বাইজুস (Byju’s controversy)। এর আগে বকেয়া টাকা না মেটানোয় ঋণদাতাদের চাপের মুখে পড়েছিল কোম্পানিটি। এ বার বাইজুসকে তলব করল ‘ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অব চাইল্ড রাইটস’। সংস্থার কর্ণধার বাইজু রবীন্দ্রনকে ডেকে পাঠিয়েছে শিশু অধিকার রক্ষার সর্বোচ্চ সংস্থা।
বাইজুসের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়েই নানা ধরনের অনৈতিক কাজকর্ম করার অভিযোগ উঠেছে। কখনও কর্মীদের সঙ্গে চূড়ান্ত খারাপ ব্যবহার। আবার কখনও নিজেদের কোর্স বিক্রির জন্য পড়ুয়া ও অভিভাবকদের ভুল বোঝানো। এই অভিযোগ বেশ কিছুদিন ধরেই তুলছিলেন অভিভাবকরা। বাইজুস থেকে নাকি রীতিমতো ‘ভয়’ দেখানো হচ্ছে তাঁদের।
এছাড়াও অনেক অভিভাবক জানিয়েছেন যে বাইজুস তাঁদের সঙ্গে কোর্স কেনার নামে প্রতারণা করেছে। তাঁদের সঞ্চয় ও ভবিষ্যতকে বিপদে ফেলেছেন। এনসিপিসিআর একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, পড়ুয়াদের নানা রকম লেখাপড়ার কোর্স বিক্রির জন্য অনৈতিকভাবে ব্যবসায়িক পন্থা গ্রহণ করছে। পড়ুয়া বা অভিভাবকদের প্রলোভন দেখিয়ে চুক্তির মাধ্যমে কোনও কোর্স কেনালে সেটি অনৈতিক ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড। শিশুদের স্বার্থরক্ষার বিষয়কে লঙ্ঘন করে এটি।
বাইজুস কর্ণধার রবীন্দ্রনকে ব্যক্তিগত ভাবে হাজিরা দিতে বলেছে ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অব চাইল্ড রাইটস। পাশাপাশি, বিষয়টি ব্যাখ্যা করার জন্য সব তথ্যপ্রমাণও চেয়ে পাঠিয়েছে সংস্থা। বাচ্চাদের জন্য কোন ধরনের কোর্স, ফি কত, প্রতিটি কোর্সে কতজন পড়ুয়া রয়েছে, এসব নথি বাইজুসের কাছে চেয়েছে এনসিপিসিআর। একইসঙ্গে জানানো হয়েছে, কোনও কারণে রবীন্দ্রন হাজিরা এড়ালে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে বাইজুসের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে ঋণদাতাদের বকেয়া টাকা মেটায়নি তারা। চলতি বছরের ৩১ মার্চ অর্থবর্ষ শেষ হয়েছে। ঋণদাতাদের অভিযোগ ছিল, অর্থবর্ষ শেষ হলেও লাভ ক্ষতির খতিয়ান সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রকাশ করেনি বাইজুস। সে জন্য ঋণ পরিশোধের ব্যাপারে ঋণদাতাদের সঙ্গে দর কষাকষি করছে সংস্থাটি। ইদানিং আরও একটি খবর মিলেছিল। বাইজুস নাকি আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। ক্ষতি সামাল দিতে নাকি রীতিমতো হিমসিম খাচ্ছে তারা।