‘বরদাস্ত করা হবে না’! রাজ্যকে তুমুল ভর্ৎসনা! কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মঙ্গলবারই রাজ্যকে কড়া ‘হুঁশিয়ারি’ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম (Justice TS Sivagnanam)। বঞ্চনার শিকার খোদ বিচারকরাই! এই নিয়ে উচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আর কয়েক মাস প্রধান বিচারপতি পদে রয়েছি। তার মধ্যে যদি রাজ্য পদক্ষেপ না করে, তাহলে রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে আমি যুদ্ধ করতেও প্রস্তুত’। এবার আরেকটি মামলায় উচ্চ আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়ল রাজ্য।

কোন মামলায় হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ভর্ৎসনার মুখে পড়ল রাজ্য?

জানা যাচ্ছে, ঝাড়গ্রামের হাতি মৃত্যুর (Elephant Death) ঘটনায় আদালতকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। ঝাড়গ্রামের ডিএফও-র বিরুদ্ধে এই বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে। তাতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছে উচ্চ আদালত। মঙ্গলবার ডিএফও ঝাড়গ্রামের জমা দেওয়া হলফনামা দেখার পর উষ্মা প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ।

গত ২ বছরে ঝাড়গ্রামে ৩টি হাতির অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে দু’টি ক্ষেত্রে হুলা পার্টির মশালের আগুনে এবং খুঁচিয়ে, পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। অন্য আরেকটি হাতিকে অজ্ঞান করে বন দপ্তর সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। তবে এরপর থেকে সেই হাতিটির কোনও খোঁজ নেই। এই অভিযোগে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। আদালতের তরফ থেকে তলব করা হয়েছিল রিপোর্ট। এবার সেই রিপোর্ট দেখেই ক্ষোভ প্রকাশ করল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

আরও পড়ুনঃ DA নিয়ে টানাপড়েন চলছে! এর মাঝেই বাংলার রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য বড় খবর! জোর শোরগোল

এদিন ঝাড়গ্রামের ডিএফও-র দেওয়া রিপোর্ট দেখে রাজ্যের আইনজীবীকে সতর্ক করেন প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানম। তিনি স্পষ্ট বলেন, ‘হয় এই হলফনামা প্রত্যাহার করুন, নাহলে আমরা জরিমানা করব। একজন আইএফএস অফিসারের এই ধরণের দায়িত্বজ্ঞানহীন হলফনামা বরদাস্ত করা হবে না’।

Calcutta High Court

হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ভর্ৎসনার মুখে পড়তেই সেই হলফনামা প্রত্যাহার করে নেয় রাজ্য। জানা যাচ্ছে, প্রধান বিচারপতি এদিন বলেন, যে প্রশ্নের উত্তর চাওয়া হয়েছিল তার জবাব না দিয়ে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে আদালতকে ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। এদিকে মামলাকারীর আইনজীবী অভিযোগ করেন হাতি রক্ষায় বন দফতরের আধিকারিকদের আন্তরিকতার অভাব রয়েছে। তা শোনার পর প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম পাল্টা বলেন, ‘একজন আইএফএস অফিসার এতখানি অন্তঃসারশূন্য হবেন আমরা মনে করি না। ওনাকে কেউ নির্দেশ দিয়েছেন এমনটা লিখতে, সেই জন্য হয়তো উনি লিখেছেন’।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর