বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ‘কারচুপি করতে এত সময় লাগে?’ ভরা এজলাসে কটাক্ষ করে এই মন্তব্যই করলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের মামলায় এবার বড় নির্দেশ বিচারপতি সিনহার। ২০১০ সালে হয়েছিল পরীক্ষা। তবে ২০২৪ এ এসে এখনও হয়নি ফলপ্রকাশ। এই নিয়ে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করেছিলেন মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের গ্ৰুপ ডি-র (Madrasah group d recruitment) চাকরিপ্রার্থীরা।
এই মামলার আগেই উচ্চ আদালতের রায় ছিল, সেপ্টেম্বরেই ফলপ্রকাশ করতে হবে। ডেডলাইনও দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এবার বিচারপতি অমৃতা সিনহাও (Justice Amrita Sinha) জানিয়ে দিলেন ডিভিশন বেঞ্চের দেওয়া সময়ের মধ্যেই ফলপ্রকাশ করতে হবে। অর্থাৎ আগামী দু’দিনের মধ্যে ফলপ্রকাশ করতে হবে।
পরীক্ষা হওয়ার দশ বছর কেটে গেলেও ফল না বের হওয়ায় গত হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে ১৩ জুন মামলা নির্দেশ ছিল আগামী তিন মাস অর্থাৎ ১৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ফলপ্রকাশ করতে হবে কমিশনকে। অর্থাৎ হাতে মাত্র দু’দিন বাকি। তবে চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, কমিশনকে এখনও পর্যন্ত ফলপ্রকাশ করার ক্ষেত্রে কোনও উদ্যোগ দেখা গেল না।
এদিকে হাইকোর্টের নির্দেশ মতো এখনও দশ বছর আগের নিয়োগ পক্রিয়ার ফলপ্রকাশ না করলেও গত ৫ অগস্ট কমিশন গ্ৰুপ ডি-তে নিয়োগের জন্য নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কমিশন। সেই বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করেই ফের হাইকোর্টে ছুটেছেন বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী। তাদের কথায়, আগের ফলপ্রকাশ না করে কীভাবে নতুন বিজ্ঞপ্তি দিতে পারে কমিশন?
মঙ্গলবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে মামলা উঠলে তিনি বলেন, “একটি পরীক্ষার ফল বার করতে ১৪ বছর সময় কী ভাবে লাগতে পারে?’’ ‘কমিশন গত ১৪ বছর ধরে পরীক্ষার ফল বার করতে পারল না! কারচুপি করতে কি এত সময় লাগে?” কটাক্ষ করে মন্তব্য বিচারপতির।
আরও পড়ুন: একাধিক সম্পর্ক, দুবার লিভ-ইন, শোভনের সঙ্গে থিতু হওয়ার আগে কতজন পুরুষ ছিলেন সোহিনীর জীবনে!
চাকরিপ্রার্থীদের মামলায় বিচারপতির নির্দেশ, ‘‘তিন হাজার শূন্যপদের জন্য এক লক্ষ চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষায় বসেছেন। সেখান থেকে অনেক টাকা পেয়েছেন। কমিশন আগে ফলপ্রকাশ করবে, তার পরে আদালত তাদের বক্তব্য শুনবে।’’ আগামী শুক্রবার এই মামলার পরবর্তী শুনানির আগেই কমিশনকে ফলপ্রকাশ করতে হবে বলে সাফ জানিয়েছে আদালত।