‘বহিরাগত-চাপ নিরপেক্ষ রায়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাকে..,’ যা বললেন প্রধান বিচারপতি

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শনিবার লিগাল সার্ভিস সেন্টার আয়োজিত স্টেট কনফারেন্সে দেখা গেল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমকে (Chief Justice T. S. Sivagnanam)। মৌলালী যুব কেন্দ্রে আয়োজিত লিগাল সার্ভিস সেন্টারের চতুর্থ স্টেট কনফারেন্সে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাস্টিস শিবজ্ঞানম। একাধিক বিচারপতি সহ সিনিয়র আইনজীবীরা এই কনফারেন্সে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

সেই অনুষ্ঠানেই বার্তা দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। কোনওভাবেই কোনও ধরনের বহিরাগত-চাপ যাতে নিরপেক্ষ রায়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাকে খর্ব না করে, তা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে বড় মন্তব্য প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের।

তিনি বলেন, ‘বিচারব্যবস্থার দায়বদ্ধতা এবং বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতার মধ্যে ভারসাম্য বজায় থাকতে হবে। বিচারপতিদের যেমন তাদের কাজের প্রতি দায়বদ্ধ হতে হবে তেমনই কোনোভাবেই কোনোরকম বহিরাগত চাপ যেন নিরপেক্ষভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাকে খর্ব না করতে পারে, সেই বিষয়টির দিকেও নজর রাখতে হবে।’

লিগাল সার্ভিস সেন্টার আয়োজিত স্টেট কনফারেন্সে বার্তা দিতে গিয়ে প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ‘বিচার বিভাগীয় দায়বদ্ধতা এবং বিচার বিভাগীয় স্বাধীনতার মধ্যে ভারসাম্য আনা খুবই জরুরি। নিজের কাজের জন্য বিচারপতিরা যেমন দায়বদ্ধ তেমনি বাহ্যিক চাপ থেকে মুক্ত হয়ে বিচারপতিদের নিরপেক্ষ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাকে আমাদের কখনই উপেক্ষা করা উচিত নয়।’

Calcutta High Court Justice TS Sivagnanam

আরও পড়ুন: আদালতে বারবার ভর্ৎসিত রাজ্যের ‘অযোগ্য’ আইনজীবীরা! এবার যোগ্য কৌঁসুলিদের খোঁজে সরকার

বিচারবিভাগীয় দায়বদ্ধতা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা বিষয়ক এই অনুষ্ঠানে গিয়ে বিচারপতি বলেন, ‘বিচার বিভাগীয় দায়বদ্ধতাই কার্যকরী গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি। বিচারপতিদের স্বাধীনতা রক্ষা করে, উচ্চ মানের আচরণ নিশ্চিত করতে হবে। দায়বদ্ধতা এবং স্বাধীনতার মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক খুবই সূক্ষ্ম। অত্যধিক যাচাই করা বিচারবিভাগীয় সিদ্ধান্তের ওপর একটি কোল্ড এফেক্ট ফেলতে পারে। তাই জনগণের আস্থা বৃদ্ধির জন্য সুস্পষ্ট নির্দেশিকা প্রতিষ্ঠা ও বিচার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

X