বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনো মহিলাকে স্পর্শ করা গুরুতর অপরাধ। এমনকি মহিলাদের প্রতি এই আচরণ ‘ধর্ষণের সমতুল্য’ বলেও জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এক নাবালিকার দায়ের করা একটি মামলার শুনানি চলাকালীন আদালতের তরফে বলা হল, ইচ্ছের বিরুদ্ধে কোনও মেয়ের গায়ে হাত দেওয়া শুধু নীতিগত ও সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকেই নয়, আইনিভাবেও গুরুতর অপরাধ।
বিরাট মন্তব্য হাইকোর্টের (Calcutta High Court) কোন মামলায়?
হুগলির তারকেশ্বরের এক নাবালিকার করা একটি মামলার শুনানি চলাকালীন এদিন এমনই মন্তব্য করল আদালত। পাশাপাশি এই মামলায় পুলিশের শিথিল পদক্ষেপের বিরুদ্ধেও এবার হস্তক্ষেপ করল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। জানা যাচ্ছে, ঘটনার সূত্রপাত হয় মাস কয়েক আগে। স্কুল থেকে ফেরার পথে তারকেশ্বরের এক নাবালিকাকে অপহরণ করার অভিযোগ ওঠে।
নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, অভিযুক্ত ব্যক্তি নাবালিকার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাঁর গায়ে হাত দিয়েছে। নির্যাতিতার পরিবার এই ঘটনার অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ প্রথমে তা নিতে অস্বীকার করে। তবে শেষ পর্যন্ত পরিবারের চাপে পড়ে মামলা দায়ের করা হলেও পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন নাবালিকার পরিবার।
আরও পড়ুন: ২৫ মার্চের মধ্যে রিপোর্ট তলব! চার সপ্তাহের ডেডলাইনও বেঁধে দিলেন জাস্টিস ঘোষ, কোন মামলায়?
শেষ পর্যন্ত মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে। আদালতে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে এই মামলার শুনানি ছিল। শুনানি চলাকালীন পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ শোনা মাত্রই তীব্র ভর্ৎসনা করেন তিনি। একইসাথে নির্দেশ দেওয়া হয়, এই মামলায় পকসো আইনের পাশাপাশি যুক্ত করতে হবে ধর্ষণের ধারাও।
জাস্টিস ঘোষের কথায়, নির্যাতিতা যে মানসিক ও শারীরিক যন্ত্রণা সহ্য করেছেন, তা ধর্ষণের সমান বলেই বিবেচিত হওয়া উচিত। একইসাথে বিচারপতি এদিন স্পষ্ট জানিয়েছেন মামলার পরবর্তী পর্যায়েও যদি আবেদনকারী মনে করেন পুলিশ যথাযথভাবে তদন্ত করছে না, তাহলে তাঁরা আবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে পারবেন।