বাংলা হান্ট ডেস্কঃ হাইকোর্টে মামলা হয়েছিল সরকারি গোডাউন থেকে প্রাথমিকের ২ লক্ষ বই (Book Theft Case) চুরি নিয়ে। যার বাজার মূল্য প্রায় ৩ কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) এই মামলায় নতুন করে সিআইডি (CID)-কে তদন্তের নির্দেশ দিলেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। সঙ্গে টাইট ডেডলাইনও বেঁধে দিয়েছেন বিচারপতি।
নতুন করে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের- Calcutta High Court
আদালতের নির্দেশ, তিন মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে রিপোর্ট জমা দিতে হবে সিআইডিকে। পাশাপাশি উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের এই ঘটনায় জেলাশাসককে সব রকমভাবে সহযোগিতা করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এদিন মামলার শুনানিতে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি। বলেন, শুধুমাত্র গুদামের দু’জন চুক্তিভিত্তিক নিরাপত্তারক্ষীর পক্ষে এই কান্ড ঘটানো সম্ভব না। এর পিছনে বড় কোনও চক্র থাকতে পারে বলে সন্দেহপ্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি।
এর আগে এই মামলায় রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করেছিল হাইকোর্ট। এ দিন রাজ্যের তরফে জানানো হয়, ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের জন্য ২,৭৬,২৭৫ টি বই পাঠানো হয়েছিল। যার মধ্যে ১, ৯৯,০৭৫ টি বই চুরি যাওয়ার অভিযোগ ওঠে। পরে ৪০,৮৪৫ টি বই মেলে গুদাম থেকে। মোট ১,৫৮,২৩০ টি বই চুরি হয়েছে বলে আদালতে জানায় রাজ্য। পাশাপাশি রাজ্য আরও জানিয়েছে, সমস্ত পড়ুয়াই বই পেয়েছে।
রাজ্যের রিপোর্ট দেখে প্রধান বিচারপতি বলেন, “বই চুরি কারা করেছে ?” রাজ্যের উত্তর, “গুদামের দুজন চুক্তিভিত্তিক নিরাপত্তাকর্মীর নাম চার্জশিটে আছে।” এরপরই আশঙ্কা প্রকাশ করে চিফ জাস্টিস বলেন, “এরা হয়ত গুদাম খুলে প্রক্রিয়াটা শুরু করেছে। কিন্তু নেপথ্যে অন্য কেউ আছে।”
আরও পড়ুন: আত্মহত্যা নয় খুন হয়েছেন তিন জন! সামনে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট, ট্যাংরা কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য
বিচারপতি বলেন, “সবমিলিয়ে ১ লাখ ৫৮ হাজার বই, এত সংখ্যক বই অটো বা রিকশা করে নিয়ে যাওয়া সম্ভব না। কমপক্ষে দুটি ট্রাক লাগবে। আমার মনে হয় এই দুজনকে বলির পাঁঠা বানানো হচ্ছে।” রাজ্যের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুঁড়ে প্রধান বিচারপতি এও বলেন, “এই দু’জন বিচার প্রক্রিয়ার সময় এটা বলতেই পারে ঘটনার দিন কিছু লোক এসে আমাদের মেরে অজ্ঞান করে চাবি নিয়ে লুঠ করে চলে গিয়েছে। তখন আপনারা কি করবেন ?” ইসলামপুরের সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন গুদাম থেকে চুরির ঘটনায় প্রশ্ন হাইকোর্টের।