বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা নির্বাচন মিটতেই মধ্যবিত্তের পকেটে ছ্যাঁকা দিয়ে রাজ্যে ফের বেড়েছে জ্বালানির দাম। চাপ বেড়েছে আমজনতার। এসবের মাঝেই নয়া সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে ভেজাল তেলের বেআইনি ব্যবসা (Petrol Diesel illegal business)। এই পেট্রোল, ডিজেল নিয়ে দক্ষিণবঙ্গের ৩ জেলা থেকে উঠে এল ভয়ানক কারচুপির অভিযোগ। যা নিয়ে মামলা হতেই বিরাট নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)।
বিরাট নির্দেশ ক্ষুব্ধ বিচারপতির
অভিযোগ, দক্ষিণবঙ্গের ৩ জেলা পূর্ব, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে রমরমিয়ে বাড়ছে কাটা তেলের ব্যবসা। লাগামছাড়াভাবে ভেজাল তেলের বেআইনি (Cut Oil Business) ব্যবসা চলছে বলে অভিযোগ। সম্প্রতি এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয় একটি জনস্বার্থ মামলা। এবার সেই মামলাতেই বিরাট নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টি শিবজ্ঞানমের (Justice TS Sivagnanam) ডিভিশন বেঞ্চ।
আদালতে মামলাকারী অভিযোগ ছিল, দুই মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে জাতীয় সড়কের পাশে ছাড়াও বিভিন্ন জেলায় এমন হাজারো দোকান আছে। যেখানে রমরমিয়ে কাটা তেল বিক্রি হচ্ছে। উল্লেখ্য তেল পাম্প ছাড়া অস্বীকৃতিপ্রাপ্ত যেকোনও দোকানে পেট্রোল, ডিজেল বোতলজাত করে বিক্রি করার যে পক্রিয়া তাকেই কাটা তেলের ব্যবসা বলা হয়।
অভিযোগ পেট্রোল, ডিজেলের সঙ্গে কেরোসিন ও অন্যান্য তেল মিশিয়ে কাটা তেল বানানো হচ্ছে। এরপর তা আমজনতার কাছে বিক্রি করা হচ্ছে। আদালতে (Calcutta High Court) মামলাকারীর আরও অভিযোগ, প্রশাসন এই বিষয়ে সম্পূর্ণরূপে অবগত হলেও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।
মামলাকারীর কথায়, জাতীয় সড়ক কিংবা রাজ্য সড়ক চারিদিকে চুটিয়ে বিক্রি হচ্ছে এই কাটা তেল। তবে এভাবে পেট্রোল, ডিজেলের সঙ্গে কেরোসিন মিশিয়ে বিক্রি করে একদিকে যেমন ওই ব্যবসায়ীরা নিজেদের পকেট ভরছেন, তেমনই গাড়িরও বিরাট ক্ষতি হচ্ছে। রাজ্যের তরফে পাল্টা দাবি যেসব এলাকায় দূর দূরান্তে পেট্রোল পাম্প নেই, সেখানের মানুষদের সুবিধা পৌঁছে দিতেই স্থানীয়রা বোতলে করে জ্বালানি বিক্রি করে। হাইকোর্টে যে অভিযোগ এসেছে তা বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া কিছুই না।
আরও পড়ুন: ৭ আর ৮! এই ২ দিনের মধ্যেই DA মামলা নিয়ে আসতে পারে বিরাট সুখবর, চাপে রাজ্য
এরপরই হাই কোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ, ওই তিন জেলার জেলাশাসকদের একটি বিশেষ টিম তৈরি করে অবিলম্বে কাটা তেলের বেআইনি ব্যবসা বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি তিন জেলাকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশও দেন প্রধান বিচারপতি। ৬ সপ্তাহ পর ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে। সেদিন সমস্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।