বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা ভোটের আগে রাজ্যের অন্যতম ‘জ্বলন্ত ইস্যু’ হয়ে উঠেছে রাজভবন কাণ্ড। খোদ রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছিলেন রাজভবনের অস্থায়ী এক মহিলাকর্মী। তা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। এবার এই কাণ্ডেই নয়া মোড়। বিরাট নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)।
রাজভবনের (Raj Bhavan) অন্দরে অস্থায়ী মহিলা কর্মীর যে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে তা নিয়ে গত কয়েকদিনে বিস্তর চর্চা হয়েছে। রাজভবনের বেশ কয়েকজন কর্মীর বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে FIR। ইতিমধ্যেই পুলিশের হাতে সিসিটিভি ফুটেজ তুলে দেওয়া হয়েছে। এবার সেই মামলার তদন্তে হাই কোর্টের তরফ থেকে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেওয়া হল।
ইতিমধ্যেই পুলিশের হাতে যেহেতু সিসিটিভি ফুটেজ তুলে দেওয়া হয়েছে, সেই কারণে প্রমাণ নষ্ট হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই, এদিন বলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Justice Amrita Sinha)। সেই সঙ্গেই ওএসডির বিরুদ্ধে কেন ৫ দিন পর অভিযোগ তোলা হল? সেটা নিয়েও প্রশ্ন করে হাই কোর্ট।
আরও পড়ুনঃ রবিবার রাতে রাজ্যে জোড়া বিপদ! ঘূর্ণিঝড় রেমাল আছড়ে পড়ায় যা ঘটতে চলেছে … শিউড়ে উঠবেন!
অভিযোগকারিণীর দাবি, তাঁকে আটকে রাখা হয়েছিল। বিচারপতি মনে করছেন, তিনি সত্যিই আটকেছিলেন কিনা তা তদন্তের বিষয়। জাস্টিস সিনহার কথায়, এই মুহূর্তে যদি এই মামলার তদন্তে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয় তাহলে মূল তদন্তের ওপর কোনও প্রভাব পড়বে বলে মনে হচ্ছে না। ১৭ জুন আদালতে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
এদিকে মামলাকারীর আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার এদিন বলেন, জোর করে ধরে রাখার ধারা একেবারেই প্রযোজ্য নয়। ঘটনা ঘটে যাওয়ার ১৩ দিন পরে কেন অভিযোগ দায়ের করা হল? তা নিয়েও প্রশ্ন করেন তিনি। এমনকি মামলাকারী সম্পূর্ণ ঘটনা সম্বন্ধে অবগত বলে যে দাবি আনা হয়েছে সেটাও অসত্য বলে দাবি করেন আইনজীবী।
তাঁর কথায়, ‘একবার বলা হচ্ছে ৩৪১ ধারা দেওয়া হয়েছে। আবার পরের লাইনেই লেখা হচ্ছে যে কোনও ভাবে ওই মহিলা বেরিয়ে আসেন। রাজ্যপালের ঘরের ভেতর যা ঘটেছে সেই বিষয়ে মামলাকারী জানত, এই ধরণের মিথ্যে অভিযোগও আনা হয়েছে’। জাস্টিস সিনহা এদিন বলেন, কিছু শব্দ একটি অস্বাভাবিক (অ্যাবসার্ড) লেগেছে। সেই জন্য মামলার তদন্তে আদালতে স্থগিতাদেশ দিতে চায়। অন্যদিকে রাজ্যের এজি কিশোর দত্ত বলেন, ‘কোনও অভিযোগ করা হলে প্রাথমিকভাবে সেই অভিযোগকে সত্যি ধরে নিয়ে তদন্ত করাই পুলিশের কর্তব্য। আদালতে এভাবে তড়িঘড়ি মামলা করার গুরুত্বটা বোঝা যাচ্ছে না’। এখানে না থেমে এজি বলেন, মামলাকারীর কে রক্ষাকবচ দেওয়া হলে রাজ্যপালকে রক্ষাকবচ দেওয়া হচ্ছে বলে মনে হবে। তবে আজ জাস্টিস সিনহার নির্দেশের ফলে, সাময়িক স্বস্তি ফিরেছে রাজভবনের অন্দরে।