বাংলাহান্ট ডেস্ক : ২০০৭ সালে বাংলাদেশ সীমান্তের কাছ থেকে আব্দুল নাইম, মহম্মদ ইউনিস, শেখ বিল্লাল নামের তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। ভুয়ো পরিচয়পত্র ও লাইসেন্সের পাশাপাশি কলকাতায় আব্দুল নাইমের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয় বিস্ফোরক। সিআইডি এর পরে শুরু করে মামলা। তদন্তকারীরা দাবি করে, ধৃত এই তিনজন জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার সদস্য। তদন্তের শেষে বনগাঁ আদালত ২০১৮ সালে শেখ আব্দুল নাইমকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করে।
সাজাপ্রাপ্ত আসামি এই বছরের মে মাসে নিম্ন আদালতের মৃত্যুদণ্ডের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। এমনকি আসামি কলকাতা হাইকোর্টে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডের অভিযোগে নিজের হয়ে নিজেই সওয়াল করেন। মামলা চলাকালীন কড়া নিরাপত্তা বলয়ের মাধ্যমে দিল্লির তিহার জেল থেকে নাইমকে আনা হয় কলকাতায়। এর আগে বনগাঁ কোর্টে এই মামলা চলাকালীন নাইম জেল থেকে পালিয়ে যায়। এরপর দিল্লি থেকে তাকে পাকড়াও করার পর রাখা হয় তিহার জেলে।
অবশেষে, কলকাতা হাইকোর্টে সওয়াল-জবাবের পর বিচারপতি নাইমের মৃত্যুদণ্ডের রায় খারিজ করে দিয়েছেন। এর পরিবর্তে তাকে ১০ বছরের জেল ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে হাই কোর্ট। পাশাপাশি নাইমের সাথে ধৃত অন্য দুই পাক যুবককে জেল থেকে মুক্তি দিয়ে পাকিস্তানে পাঠানোর ব্যবস্থার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।