বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০১৬ সালে পেরিয়ে গিয়েছে ভিসার মেয়াদ। তা সত্ত্বেও এদেশে অবৈধভাবে থাকার অভিযোগ উঠল এক বাংলাদেশির বিরুদ্ধে। শুধু থাকাই অবশ্য নয়, বিদেশে টাকা পাচারের মতো অবৈধ কারবারের অভিযোগও উঠেছে ওই বাংলাদেশি ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। উমাশঙ্কর আগরওয়াল নামের একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। এবার মামলা উঠতেই কেন্দ্রীয় এজেন্সি ইডিকে বিরাট নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)।
এই রাজ্যে সানথোলিয়া আগারওয়ালা গ্রুপ নামের একটি সংস্থা রয়েছে উমাশঙ্করের। লোকসভা ভোটের ঠিক আগে ওই কোম্পানি বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে প্রচুর অর্থ পশ্চিমবঙ্গের নানান রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছে বলে অভিযোগ। এই বিষয়ে মামলাকারীর আইনজীবী মেঘা দত্ত বলেন, ‘এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই রাজ্য পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে। এবার সেটাতেই আর্থিক দুর্নীতির কোনও ব্যাপার রয়েছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। প্রয়োজনে ED-র (Enforcement Directorate) হাতে তদন্তভার তুলে দিয়ে যথাযথ ধারা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে’।
ওই আইনজীবীর আবেদন, এই মামলার আর্থিক তছরুপের ধারা যুক্ত করা হোক। তিনি বলেন, নানান জঙ্গি সংগঠন থেকে শুরু করে চোরা কারবারিরা এই টাকার মাধ্যমে উপকৃত হন। এদিন হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ উমাশঙ্করের বিরুদ্ধে প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের ধারা যোগ করে ED-র হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। ওই বাংলাদেশি ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে আগেই স্বতঃপ্রণোদিত FIR দায়ের করে তদন্ত শুরু করে দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুনঃ মোদীর উদ্বোধন করা অংশে কিচ্ছু হয়নি! দিল্লি বিমানবন্দরের ভেঙে পড়া ছাদ কবে তৈরি? জানাল সরকার
এরপর ওই বাংলাদেশি ব্যবসায়ীকে গ্রেফতারও করা হয়। তবে আলিপুর আদালতে তাঁকে তোলা হলে তিনি জামিন পেয়ে যান। তবে উমাশঙ্কর আদালতে দাবি করে, তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই পুলিশ জামিন খারিজের দাবিতে হাই কোর্টের আর একটি বেঞ্চে আর্জি জানিয়েছে। আগামী মাসে তথা জুলাই মাসে ওই মামলার শুনানি আছে।
হাই কোর্ট সূত্রে খবর, উমাশঙ্কর নামের ওই ব্যক্তির বাংলাদেশি পাসপোর্ট রয়েছে। ৮ বছর আগেই ওনার ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে। এরপর থেকে অবৈধভাবে এদেশে রয়েছেন তিনি। কীভাবে রয়েছেন তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। তদন্তকারীদের অনুমান, আত্মীয় পরিজনদের সাহায্যে প্রচুর টাকা বিদেশে পাচার করেছেন উমাশঙ্কর। এমনকি একাধিকবার ঠিকানাও বদল করেছেন তিনি। এবার আগামী জুলাই মাসে উমাশঙ্করের জামিন খারিজের মামলায় হাই কোর্ট কী নির্দেশ দেউ সেটাই দেখার।