বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিকাশ ভবনের সামনে চাকরিহারা (SSC Recruitment Scam) শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের অবস্থান, বিক্ষোভ চলছে। গত বৃহস্পতিবার বিকাশ ভবন ঘেরাও অভিযানের ডাক দেওয়া হয়। যা ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। ইতিমধ্যেই এই জল গড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) অবধি। এবার তাতেই বড় অনুমতি দিয়ে দিলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ (Justice Tirthankar Ghosh)।
শুক্রবার এই মামলায় চূড়ান্ত নির্দেশ দেবে হাইকোর্ট (Calcutta High Court)
পুলিশের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তার অভিযোগ তুলে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষকদের একাংশ। আগেই তাঁদের মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছিলেন বিচারপতি। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানি ছিল। সেদিনই রাজ্যকে বড় অনুমতি দিয়ে দিল আদালত।
জানা যাচ্ছে, বিকাশ ভবনের (Bikash Bhawan) সামনে চাকরিহারাদের বিক্ষোভ নিয়ে এদিন আপত্তি জানায় রাজ্য। রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, এসএসসি কাণ্ডে চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষকরা ওই বিক্ষোভ কর্মসূচি করছিলেন। অথচ মামলাকারী তো গ্রুপ ডি কর্মী। তিনি বিকাশ ভবনের সামনের কর্মসূচিতে কী করছিলেন?
আরও পড়ুনঃ দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে ঝড়বৃষ্টি! নিম্নচাপের জেরে ভারী বৃষ্টি ৪ জেলায়! কোথায় কোথায় বেশি দুর্যোগ?
সেই সঙ্গেই কল্যাণের দাবি, সেদিনের বিক্ষোভের ঘটনায় মোট ২২ জন পুলিশ কর্মী জখম হয়েছেন। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন ১৯ জন সাধারণ মানুষ। বিকাশ ভবনের পাশাপাশি ওই অঞ্চলে আরও একাধিক সরকারি দফতর রয়েছে বলে জানান রাজ্যের (Government of West Bengal) আইনজীবী।
কল্যাণ বলেন, চাকরিহারাদের বিক্ষোভের কারণে বিকাশ ভবনের পাশাপাশি ভিজিল্যান্স কমিশন, অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল, এসবিআই ব্যাঙ্কের কর্মচারীরা কাজ করতে সমস্যায় পড়ছেন। কিছু ‘গুন্ডা’ মিলে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করেছেন বলে দাবি করেন তিনি।
একথা শুনে বিচারপতি ঘোষ বলেন, ‘যে সব অভিযোগ আনা হচ্ছে, সেই অভিযোগগুলি সত্য প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিধাননগর অঞ্চলে কোনও কর্মসূচি করতে দেওয়া হবে না’।
এর পাশাপাশি বিকাশ ভবনের সামনে বিক্ষোভ, প্রতিবাদে রাজ্যের আপত্তি কেন? একথা জানিয়ে রাজ্যকে লিখিত আবেদনের অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট। এর ভিত্তিতে আদালত পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাবে বলে জানিয়েছেন জাস্টিস ঘোষ। এছাড়া হাইকোর্ট মৌখিকভাবে জানিয়েছে, মামলাকারীর বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারবে না। শুক্রবার ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে। সেদিন চূড়ান্ত নির্দেশ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি।
উল্লেখ্য, গত এপ্রিল মাসে ২০১৬ সালের এসএসসির সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এরপর থেকে চাকরিহারাদের আন্দোলন, প্রতিবাদ চলছে। বিকাশ ভবনের সামনে কর্মসূচি ঘিরে যে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা হয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানিতে বিচারপতি কী চূড়ান্ত নির্দেশ দেন সেদিকে নজর সকলের।