বাংলা হান্ট ডেস্ক : বাজারে গেলেই হাত পুড়ছে মধ্যবিত্তের। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস থেকে শুরু করে আনাজপাতি সব কিছুরই দাম এখন আকাশ ছোঁয়া। এই পরিস্থিতিতে আমজনতাকে খানিক স্বস্তি দিতে গত বছরের অক্টোবর মাসেই ভারত ব্যান্ডের নামে কম দামে চাল ও আটা বিক্রি করা শুরু করেছিল কেন্দ্রীয় খাদ্য মন্ত্রক (Central Government)।
আমজনতার জন্য বিরাট উদ্যোগ কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government)
মূলত কম আয়ের মানুষদের উপকার করার উদ্দেশ্যেই চালু করা হয়েছিল এই কর্মকান্ড। এবার মঙ্গলবার এই প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের উদ্বোধন করেছেন কেন্দ্রীয় (Central Government) খাদ্যমন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। কম দামে দেশবাসীর কাছে চাল গমের মতো অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পৌঁছে দেওয়ার জন্যই কেন্দ্রীয় সরকারের এই উদ্যোগ অত্যন্ত কার্যকরী বলে মনে করা হচ্ছে।
পাশাপাশি সরকারি গুদাম থেকে খোলা বাজারে শস্য বিক্রি করে সেগুলির দাম নিয়ন্ত্রণে আনাও এই প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government) আশা এই বছরের খারিফ মরশুমে গত বছরের তুলনায় চালের উৎপাদন অনেকটা বেশি হবে। আর বাজারে যোগান বাড়লে স্বাভাবিকভাবেই দাম কম হবে বলেই অনুমান করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন : বড় ধাক্কা! উপনির্বাচনের আগেই BJP ছেড়ে তৃণমূলে জন বার্লা? তোলপাড় রাজ্য
কেন্দ্রীয় কৃষি মঞ্চকের আশা ভালো বৃষ্টি হওয়ার কারণে এই ২০২৪-২৫ খারিফ মরশুমে প্রায় ১২ কোটি টন চাল উৎপাদন হতে পারে। গত মরশুমে অর্থাৎ ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত ১৫.২০ লক্ষ টন গমের আটা এবং ১৪.১৮ লক্ষ টন চাল বিতরণ করা হয়েছিল। গতবার ৫ কেজি এবং ১০ কেজি বস্তার চাল বিক্রি হয়েছিল ২৯ টাকা কেজি দরে। অন্যদিকে একই পরিমাণ আটা বিক্রি হয়েছিল ২৭.৫ টাকা কেজিতে।
এবছর সেই দাম বাড়িয়ে করা হয়েছে ৩৪ টাকা এবং ৩০ টাকা। তার জন্যই এ বছর খাদ্য নিগমের গুদাম থেকে ২.৯১ লক্ষ টন চাল এবং ৩.৬৯ লক্ষ টন গম বরাদ্দ করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে এই চাল-গম বিক্রি করা হবে সরকারি সমবায় এনসিসিএফ এবং নাফেডের মাধ্যমে। কেন্দ্রীয় ভান্ডার এবং ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম থেকেও এই সমস্ত পণ্য কেনা যাবে বলে জানা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে ‘প্রাইস স্টেবিলাইজ়েশন ফান্ডের’ সাহায্যে। এদিন এই সমস্ত চাল গম বিক্রির জন্য সমবায় মোবাইল ভ্যানের উদ্বোধন করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। এদিন তিনি জানিয়েছেন ‘ক্রেতাদের সুরাহা দিতে এটি সাময়িক হস্তক্ষেপ। বরাদ্দ করা শস্য শেষ হওয়া পর্যন্ত প্রকল্প চলবে।’