বাংলাহান্ট ডেস্ক : একটা ছোট্ট সহজ প্রশ্ন…’চা খাব না আমরা? খাব না চা?’ আর এই সরল প্রশ্নই ভরা লকডাউনের (Lockdown) মাঝে রাতারাতি তাকে বানিয়ে তুলেছিল ‘সেলেব’। এক ফোন থেকে আরেক ফোনের দৌলতে দিন কয়েকের মধ্যেই সহজ সরল ‘চা কাকু’ হয়ে উঠেছিলেন নেটদুনিয়ার (Internet) সেনসেশন।
একাধিক ভিডিও থেকে শুরু করে নিত্যনতুন মিম যেন বদলে দিয়েছিল ‘চা কাকু’ (Cha Kaku) ওরফে মৃদুল দেবের জীবনধারা। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ার হাত ধরে ভাগ্যও ফিরেছিল চা কাকুর। পেশায় দিনমজুর মৃদুল কাকুকে দোকান খুলতে সাহায্য করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty)।
কিন্তু, এবার কী সেই ভাইরাল কাকুর ফের ভাগ্য বদল হয়ে গেল? জানা গিয়েছে, আবারও ঘর মুছে, বাজার করেই সকাল কাটছে তাঁর। মৃদুল দেবের কথায়, “ছেলে রোজগার করছে। ও সংসারে সাহায্য করে। আমি এদিক-ওদিক থেকে রোজগার করে দোকানে লাগাচ্ছি। আমার পুঁজি কম। সকালের দিকে তাই দোকান খুলি না। পাশাপাশি সেই সময় বাজার ভালো থাকে না। তবে আগের মতো দিনমজুর নই। ভাইরাল হওয়ার পরে অনেকেই সাহায্য করেছিলেন। এই দোকানটা শুরু করেছিলাম। এখন অবশ্য কোনও সাহায্য পাই না।”
পাশাপাশি চা কাকু আরোও বলেন, বাড়িতে ঘর মোছা, বাজার করার কাজ করেই সকালটা তার কেটে যায়। একপ্রকার কোনরকমেই যেন দিন গুজরান হচ্ছে তাঁর। নতুন করে কেউ আর তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করছেন না বলেও আক্ষেপ করেন মৃদুল দেব। পাশাপাশি এই প্রবীণ দিনমজুরের আরোও সংযোজন , “যখন ভাইরাল হয়েছিলাম সব জায়গায় আমার কথা হচ্ছিল। এখন আর কেউ খোঁজ নেয় না। ছেলের আয়েই সংসার চলে। আমিও দোকানটা টুকটাক চালাচ্ছি। পুঁজি নেই, সেভাবে দোকানে মাল ফেলতে পারছি না। তবে দোকানটা বিকেলে খুলি।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইন্টারনেটে দুনিয়াতে খুব সহজেই জনপ্রিয়তা পেয়ে যাচ্ছেন আট থেকে আসি। মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যাচ্ছেন বলেই কী মানুষের স্মৃতিপট থেকেও দ্রুত মিলিয়ে যাচ্ছেন ? সাম্প্রতিক কালের হাবড়ার ‘মাখা কাকু’ থেকে শুরু করে এই তালিকায় রয়েছে কলকাতার পাইস হোটেলের মমতা গঙ্গোপাধ্যায় (Kolkata Pice Hotel), জোম্যাটো গার্ল পৌলমী অধিকারী (Poulami Adhikari), রানু মণ্ডলের মত মানুষেরাও। এবার চা কাকুর বর্তমান অবস্থা দেখার পর ‘ভাইরাল ব্যক্তিত্বদের’ ফেমের স্থায়িত্ব নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।