করোনার প্রভাব বেশি পড়েছে ইরান, ইতালি এবং ব্রিটেনে। আর চীন যেন ইতিমধ্যেই মৃত্যু শহড়ে পরিনত হয়েছে।মহামারির আকার ধারণ করা এই রোগকে WHO এই রোগকে মহামারি বলে ঘোষণা করেছে। এই রোগে এখনও অবধি মৃতের সংখ্যা সাড়ে ৫ হাজারের বেশি। এবং আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৫৫ হাজারেরও বেশি। ভারতেও এই রোগের আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১১০ জন। এবং তাঁর মধ্যে ইতিমধ্যেই ২ জনের মৃত্যু ঘটেছে।
আমেরিকার অনেক আগেই বিদেশ থেকে ফেরত আসা ভারতীয় নাগরিকদের পরীক্ষা নিরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল ভারতে। ২২ শে জানুয়ারী থেকেই ভারতীয় এয়ারপোর্টে করোনাভাইরাসের লক্ষণ পরীক্ষা শুরু করা হয়েছিল। কিন্তু আমেরিকা ২৫ শে জানুয়ারির পর থেকে এই ব্যবস্থা শুরু করে। কিন্তু আমেরিকায় এই রোগ সম্বন্ধে জানার পরও কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে, দাবী করছে আমেরিকাবাসী। করোনা আতঙ্কে বাতিল হচ্ছে একের পর এক ফ্লাইট। আবার বন্ধ হয়েছে স্কুল ,কলেজ এবং বিশ্ব বিদ্যালয়। আর অনেক জায়গায় ইতিমধ্যেই ঘোরার প্ল্যান বাঞ্চাল হয়ে গেছে।আর অসমের জোরহাটের মারিয়ানি স্টেশনে আতঙ্কের পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে৷ চেন্নাই থে আসা ওই ট্রেন ভীড় হোয়ার কথা, কিন্তু তা হলোই না উলটে ওই ট্রেন মুহুর্তে ফাঁকা হয়ে গেলো। কারন ওই চেন্নাই এক্সপ্রেসের চার যাত্রীর মধ্যে করোনা ভাইরাসে উপসর্গ মেলার খবর পেয়েই সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ৷
আর এই আতঙ্ক যে কতটা তা নতুন করে বলতে হবে না। রাতারাতি অনেকেই এই করোনার আতঙ্কে বাড়ি থেকে বেরোতে ভয় পাচ্ছে, মাস্ক এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার করছেন। ওই দিন তাড়াহুড়ো করে সকল যাত্রীদের ট্রেন থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। আর সেই সময় এই আতঙ্ক কমানোর জন্য দুজন ডাক্তার আসেন, সবাইকে পরীক্ষা করে দেখেন। অবশেষে দুই ব্যক্তির সর্দি-কাশি ছিলো বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু তাদের করোনা ছিলো না ।